
রাজধানীর আদাবরে নভোদয় হাউজিংয়ে চাঞ্চল্যকর শিশু খন্দকার সামিউল আজিম ওয়াফি (৫) হত্যা মামলায় কথিত প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুসহ মা আয়েশা হুমায়রা এশার মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ রবিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ২৩ জুন পরকীয়া প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর সঙ্গে মায়ের অনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখে ফেলায় সামিউলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর মরদেহ গুম করতে ফ্রিজে লুকিয়ে রাখা হয়।
পরে সামিউলের লাশ বস্তায় ঢুকিয়ে পরদিন ২৪ জুন রাস্তায় ফেলে দেয়া হয়। একইদিন আদাবরের নবোদয় হাউজিং এলাকা থেকে সামিউলের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা কে এ আজম বাদী হয়ে ২৪ জুন আদাবর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় এশা ও বাক্কু উভয় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলাটি তদন্ত করে পরের বছর ২৫ অক্টোবর হুমায়রা ও শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়। ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।