এ যেন রণক্ষেত্র, ফ্রান্সে আবারও ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে পুলিশের ছবি প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আইনের পরিকল্পনার প্রতিবাদে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহতও হন। এ সময় যানবাহনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেন বিক্ষোভকারীরা।
কর্মক্ষেত্রে পুলিশের ছবি প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আইনের পরিকল্পনার প্রতিবাদে গত সপ্তাহের মতো এ শনিবারও (৫ ডিসেম্বর) বিক্ষোভ হয়। এতে অংশ নেন হাজার হাজার মানুষ। বিক্ষোভের একপর্যায়ে পুলিশ বাধা দেয়।
এরপরই নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষুব্ধদের শুরু হয় তুমুল সংঘর্ষ। লাঠিপেটার জবাবে যানবাহন, ব্যাংক, দোকানপাটসহ বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেন আন্দোলনকারীরা। এ ছাড়া পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছোড়েন তারা। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও ঘোষণা দেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় পুলিশ তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
এক আন্দোলনকারী বলেন, আমার জন্য এ আন্দোলনের গুরুত্ব অনেক, গত বছর আমি পুলিশের সহিংসতার শিকার হই। তখন থেকে পুলিশকে আমি ভীষণ ভয় পাই। দূর থেকে ওদের দেখলেও ভয় লাগে। পুলিশেকে একদম বিশ্বাস করি না আমি।
আরেকজন জানান, ‘পুলিশের ভিত্তিটাই দুর্বল। ওদের ভালো প্রশিক্ষণ দরকার, নীতি দরকার। পুলিশের সঙ্গে জনসাধারণের বৈষম্য যাতে না থাকে সে ব্যবস্থা করা দরকার।’
দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, কয়েকজন পুলিশের সহিংসতা বা বর্ণবাদী আচরণ প্রমাণ করে না যে পুরো পুলিশ বিভাগ এমন। তবে যারা এমন তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে জানিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার জন্য একটি ফোন নম্বর চালু করা হবে বলে জানান ম্যাক্রোঁ।
খসড়া আইনের ২৪ অনুচ্ছেদে যেটিতে পুলিশের চেহারা দেখাতে বারণ করা হয়েছে সেটিসহ সব অনুচ্ছেদ বাতিলের জোর দাবি জানান তারা। বিক্ষোভকারীরা বলেন, পুলিশ সদস্যদের চেহারা দেখা না গেলে বা শনাক্ত করা সম্ভব না হলে, পুলিশি নির্যাতনের ঘটনা আরো বেড়ে যাবে। একই সঙ্গে এই খসড়া আইনকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলেও মনে করছেন অনেকে।