
নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান, এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ-ভারত চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ – যারা ছোট ব্যবসা করেন, তাদের সহজে ঋণ দেয়ার সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, করোনার প্রভাবে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি ইতিমধ্যে উপলব্ধি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আবার ব্যবসায়ীদেরও ক্ষতি স্বীকার করে এগোতে হবে। করোনাকালে ঘরে ঘরে যে উদ্যোক্তা সৃষ্টি হচ্ছে, তাদের উদ্যমী শক্তি কাজে লাগিয়ে আগামী দিনের অর্থনৈতিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকার, ব্যাংক ও ব্যবসায়ীদের সম্মিলিত সহায়তা লাগবে। মনে রাখতে হবে, করোনা নিয়ন্ত্রণে রেখেই অর্থনীতি আগের অবস্থায় নিতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারি সহায়তার বিকল্প নেই বলেও মনে করেন এই শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতা।ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-আইবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, করোনাকালে সরকার ঘোষিত প্রণোদনার অর্থ নতুন উদ্যোক্তারা পাচ্ছেন না।
আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে রেখেই বাংলাদেশের অর্থনীতি সচল করতে হবে। গ্রামে অর্থনীতি স্বাভাবিক হচ্ছে। সব মিলিয়ে অচিরেই আগের অবস্থায় ফিরবে বাংলাদেশের অর্থনীতি। মহামারী করোনাভাইরাসের বড় আঘাত আসে পরিবহন খাতে। তবে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা করোনাকালের ৬০ শতাংশ সংকট কেটেছে। আমাদের গ্রামীণ অর্থনীতি খুব দ্রুত স্বাভাবিক হচ্ছে। আমরা তিন মাস আগেও কল্পনা করিনি যে- দেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকশিল্প ঘুরে দাঁড়াবে। আমাদের রেমিট্যান্স বাড়ছে। প্রবাসীরা প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাচ্ছেন। অর্থনীতির গতি বাড়ছে। সব মিলিয়ে আগামী বছর মাঝামাঝি বাংলাদেশের অর্থনীতি আগের অবস্থায় ফিরে আসবে।