1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৫২ পূর্বাহ্ন
২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
গাইবান্ধার পুলিশ সুপার নিশাত এ্যঞ্জেলা বদলী : নতুন পুলিশ সুপার সারওয়ার আলম ফুলছড়িতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে দুইজন আটক পোশাকের রং বদলায়, কিন্তু বদলায় কি পুলিশের আচরণ? গাইবান্ধায় এনসিপির মনোনয়ন ফরম তুলেছেন যারা পলাশবাড়ী পৌর জামায়াতের নির্বাচনী মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত পলাশবাড়ী উপজেলা জাতীয়তাবাদী তারেক জিয়ার প্রজন্ম দলের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন রাজশাহীতে বিচারকপুত্র হত্যার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় মানববন্ধন গাইবান্ধায় বিএনপির প্রার্থীকে বিজয়ী করতে জাসাসের মতবিনিময় সভা আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও উৎসব মুখর করতে মাঠ প্রশাসন প্রস্তুত : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিধি-বহির্ভূত ৫৭টি আদেশে ডিপিসি স্থবির—১২ বছরেও প্রথম পদোন্নতি পাচ্ছেন না বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাষকরা।

পলাশবাড়ীর গ্রামাঞ্চল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ধান-চাল সংরক্ষণের বাঁশের তৈরি গোলা

  • আপডেট হয়েছে : শুক্রবার, ৯ জুন, ২০১৭
  • ২৯ বার পড়া হয়েছে

খবরবাড়ি ডেস্কঃ গ্রামাঞ্চলে ধান-চাল সংরক্ষণে বাঁশের তৈরি বড় পাত্রের নাম গোলা। এটি গাইবান্ধার পলাশবাড়ী অঞ্চলে ডুলি বা বেড় নামেও পরিচিত। বাঁশ দিয়ে এ গোলা তৈরি করা হয়। গ্রামের গৃহস্থ্য পরিবার গুলো পুরো বছরের খাদ্যের সংস্থানে গোলায় ধান সংরক্ষণ করে থাকেন। প্রতি ধানের মৌসুমে ধান মারাকাটি করে শুকিয়ে গোলাজাত করা হয়ে থাকে। প্রয়োজনের সময় গোলা থেকে ধান বের করে পূনরায় রোদে শুকিয়ে ধান ভেঙ্গে চাউলে রূপান্তর করা হয়। তবে বাজারে বিক্রি করার সময় নতুন করে আবার ধান শুকানোর আর প্রয়োজন পড়েনা।

এশিয়া মহাদেশে অন্যান্য ১৯টি দেশের সাথে বাংলাদেশেও মানুষের প্রধান খাদ্য হচ্ছে ভাত। চাল রান্নার পর হয় ভাত। গোলা থেকে ধান নামিয়ে তা মেশিনে ভাঙ্গিয়ে তুলনামূলক অধিক ছোট পাত্রে রাখা হয় চাল। আর সেখান থেকেই চাল নিয়ে ভাত রান্না করা হয়।গোলা ভর্তি ধান না থাকলে এক সময় গ্রামের গৃহস্থ্য পরিবার সেই বাড়িতে ছেলে-মেয়েদের বিয়ে পর্যন্ত দিতে আগ্রহী হতো না। এ কথা এখনো গ্রামাঞ্চলের মানুষের মুখে মুখে ঘুরে-ফিরে। যাতে নষ্ট না হয় সে কারণে গোলায় ধান রেখে সেই গোলার মুখ মাটির লেপ দিয়ে বদ্ধ করে রাখা হয়। আবার টাকার প্রয়োজন হলে গোলা থেকে ধান নিয়ে বাজারে বিক্রি করা হতো। সে সময়ের সমাজ ব্যবস্থা এখনকার মতো এত উন্নত ছিলনা। তখন চোর-ডাকাতের ভয়ে ধানের গোলার ভিতর স্বর্ণ ও টাকা পয়সা সংরক্ষণ করে রাখা হতো। ধান রাখার এ পাত্রকে গোলা বা বেড় দুই নামে আখ্যায়িত করার কারণও রয়েছে। বেড় অপেক্ষাকৃত গোলা মজবুত।গোলা দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়। বাঁশের তৈরি গোলা ব্যবহার দিন দিন কমে গিয়ে এখন শূন্যের কোঠায়। কারণ আমাদের পারিবারিক বাঁশঝাড় গুলো ক্রমেই বসতভিটায় পরিণত হওয়ায় তা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে।  স¤প্রতি বেশির ভাগ বাঁশঝাড় গ্রামের বিত্তশালীদের পাকা স্থাপনা, বহুতল ভবন নির্মাণে সহায়ক সামগ্রী হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে বিত্তশালীরা চড়াদামে বাঁশ কিনে নিয়ে যাচ্ছে নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে। আর বাঁশের উৎপাদনও কমে যাচ্ছে। একদিকে উৎপাদন কমে যাচ্ছে অপরদিকে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঁশের দাম ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে। গোলা তৈরির প্রধান উপকরণ বাঁশের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে।

তাই বর্ধিত মূল্যে উৎপাদিত গোলা বিক্রি করতে হচ্ছে। গোলা বিভিন্ন সাইজের হয়ে থাকে। একটি বড় গোলায় ৪০ থেকে ৫০ ও একটি ছোট গোলায় ২০ থেকে ৩০ মন ধান সংরক্ষণ করা যায়। তবে গৃহস্থ্য পরিবার তাদের চাহিদানুযায়ী গোলা তৈরি করে থাকেন। তবে গোলায় ধান রাখলে অনেক সময় নানা সমস্যাতেও পড়তে হয় গৃহস্থ্য পরিবার গুলোকে। গোলায় ধান সংরক্ষণ করলে ইদুঁর ধান নষ্ট করে বেশি। গ্রামের প্রতিটি বসতবাড়িতে ইদুঁর উৎপাত-বিদ্রুপ করে থাকে বেশী। ইদুঁরের প্রধান খাদ্য ধান। গোলার ধান খেয়ে ইদুঁর মাটিতে ফেলে দেয়। গৃহস্থ্যরা জানায়, ইদুঁরের হাত থেকে ধান রক্ষার জন্য সাম্প্রতিক সময়ে গোলার ব্যবহার অনেকটাই কমে গেছে। বাঁশের তৈরি গোলার স্থান দখল করে নিয়েছে স্থায়ী পাকা অথবা টিনের ড্রাম।

টিনের ড্রাম ঘরের বাইরেও রাখা যায়। বাঁশের তৈরি ধানের গোলা বাইরে রাখলে চুরি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাছাড়া স্থায়িত্ব কম হওয়ায় অনেকে টিনের গোলা তৈরি করার ফলে বাঁশের তৈরি গোলার চাহিদা কমে গেছে। চাহিদা কমে যাওয়ায় বাঁশের তৈরি গোলার কারিগরও অনেক কমে গেছে। তাদের পূর্ব পুরুষের পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় চলে গেছে। তাছাড়া এ পেশা মৌসুমী হওয়ায় অনেক কারিগর পেশার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। নতুন প্রজন্ম এ পেশায় আসতে তেমন আগ্রহী নয়। গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা সদরের নুনিয়াগাড়ী গ্রামের গোলা তৈরির কারিগর আমিন ও আল-আমিন ও তাদের পরিবারের সদস্য স্ত্রী-সন্তানদের সাথে বাড়ির উঠানে বসে কথা হয়। তারা পারিবারিক ভাবে বিগত ১৭ বছর যাবত গোলা তৈরি করে বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করে থাকেন। তারা জানান, নিকটাতীতের এখন বাঁশের তৈরী গোলার চাহিদা অনেক কমে গেছে। ইতোপূর্বে সদরের কালিবাড়ি বাজারে সাপ্তাহিক হাটবারে শতাধিক গোলা বিক্রি করতাম। এখন এর স্থলে ১০ থেকে ১৫টি গোলাও বিক্রি হয় না। একটি বড় গোলা প্রায় ৮’শ থেকে ১ হাজার ও একটি ছোট গোলা ৫শ’ থেকে ৬’শ টাকায় বিক্রি করা যায়। এতে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে খুব একটা লাভ আসে না। ফলে দীর্ঘদিনের এ পেশা ধরে রেখে পারিবারিক চাহিদা মেটানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft