
দুবাই ও সিঙ্গাপুরে ২৩৬ কোটি টাকা পাচার এবং আত্মসাতের অভিযোগে আরব বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও ৯ পরিচালকসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বৃহস্পতিবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে। সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা (পরিচালক) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সহকারী পরিচালক নারগিস সুলতানা বাদী হয়ে এসব মামলা করেন।
আসামিরা হলেন- এবি ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক, ব্যাংকটির পরিচালক ফিরোজ আহমেদ, সাবেক পরিচালক এম এ আউয়াল, ফাহিম উল হক, ড. মো. ইমতিয়াজ হোসেন, সৈয়দ আফজাল হাসান উদ্দিন, শিশির রঞ্জন বোস, বি বি সাহা রায়, জাকিয়া এস আর খান ও মো. মেজবাউল হক।
অন্য আসামিরা হলেন: আরব বাংলাদেশ লিমিটেডের ডিএমডি এন্ড হেড অফ অপারেশস সাজ্জাদ হোসেন, সাবেক ইভিপি অ্যান্ড হেড অফ আইসিসিডি মো. শাহজাহান, ইভিপি অ্যান্ড হেড অফ আইসিসিডি মো. আমিনুর রহমান, সাবেক ইভিপি সরফুদ্দিন আহমেদ, এবি ব্যাংক লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. শাহজাহান, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার আরিফ নেওয়াজ, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সালাহ উদ্দিন, অ্যাসিসটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজী আশিকুর রহমান, সাবেক ইভিপি কাজী নাসিম আহমেদ, সাবেক এসইভিপি ও হেড অব বিজনেস আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সাবেক এসইভিপি ও হেড অব বিজনেস সালমা আক্তার, সাবেক ডিএমডি ও হেড অব ক্রেডিট কমিটি মশিউর রহমান, সাবেক এমডি ও প্রেসিডেন্ট অব ক্রেডিট কমিটি শামীম আহমেদ চৌধুরী এবং ব্যবসায়ী এ এন এম তায়েবু রশীদ।
মামলার এজাহারে জানা যায়, একটি মামলায় ১৬০ কোটি ৮০ লাখ টাকা, দ্বিতীয়টি ৬০ কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং তৃতীয়টি ১৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিরা অফশোর ব্যাংকিংয়ের সুযোগ নিয়ে এলসির বিপরীতে ২৩৬ কোটি ৮ লাখ টাকা পাচার করেছেন।
মামলার অভিযোগে এবি ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের গ্রাহক সিম্যাটসিটি জেনারেল ট্রেডিং এলএলসি, এটিজেড কমিউনিকেশন লিমিটেড এবং ইউরো কারস হোল্ডিং প্রাইভেট লিমিডেটকে ব্যবহার করে সিঙ্গাপুর ও দুবাইয়ে ঋণের আড়ালে অর্থপাচার হয়েছে।
আরব আমিরাতের সেমাট সিটি জেনারেল ট্রেডিং, সিঙ্গাপুরের এটিজেড কমিউনিকেশনস পিটিই লিমিটেড ও ইউরোকারস হোল্ডিংস পিটিই লিমিটেডের নামে এ অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। অর্থ আত্মসাতের জন্য এসব অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ ছাড় করা হয়।
অনুসন্ধানে এসব প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংকিং হিসাব খোলার আগেই ঋণ অনুমোদন হয়েছে। এ পুরো কার্যক্রমে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সায় ছিল। অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যেই এরকম একটি ছক তৈরি করা হয়।