এটিএম আফছার আলী, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার এক শিবির নেতার কান্ড। তার নাম আমিনুল ইসলাম। সে উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের নুর ছামাদের ছেলে। শিবির নেতার বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসি সাজা মিয়া জানান- ২০১৫ সালে মক্তবে শিক্ষকতা করার সময় এক শিক্ষার্থীর সাথে তার প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায় তার সঙ্গে অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে ওই শিবির নেতা। বিষয়টি এলাকাবাসি জানতে পেয়ে গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে ওই শিক্ষার্থী একই গ্রামের সৌদি প্রবাসী আবুল হোসেনের মেয়ে সুমির সাথে বিয়ে পড়ে দেয়। লোক লজ্জা ভয়ে বেশ কিছুদিন শিবির নেতা আমিনুল স্ত্রী সুমিকে নিয়ে ঢাকায় গা ঢাকা দেয়। এরই মধ্যে তাদের ১টি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। এরপর ২০১৬ সালে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে গ্রামে চলে আসে শিবির নেতা আমিনুল ইসলাম। কিন্তু আমিনুলের অনৈতিক কর্মকান্ড শোধরায়নি। বাড়িতে ফিরে আসার কয়েক মাসের মাথায় সে তার স্ত্রীর জ্যাঠাত বোনের সাথে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তোলে। এমনকি তার সঙ্গেও অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে ওই শিবির নেতা। গত বুধবার শিবির নেতা আমিনুল নতুন প্রেমিকার সাথে বাঁশ বাগানে আপত্তিকর অবস্থায় লোকজন দেখতে পায়। বিষয়টি সুমি ও সুমির জ্যাঠাত বোনের পরিবারকে জানান স্থানীয় লোকজন। এনিয়ে রাতে সুমির পরিবারের লোকজন প্রতিবাদ করতে গেলে আমিনুল ও তার লোকজন নতুন প্রেমিকার বাবার মাথায় আঘাত করে ফেটে দেয়। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শিবির নেতা আমিনুল ডোমেরহাট চৌধুরী বাবর উদ্দীন প্রি-ক্যাডেট মাদ্রাসার ও পশ্চিম পরাণ মক্তবের শিক্ষক এবং মধ্য পূর্ব সুর্বণদহ জামে মসজিদে ইমামতি করেন। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, মসজিদের মুসল্লি এবং এলাকাবাসী লম্পট আমিনুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ তাকে সামাজিকভাবে সমাজ থেকে বয়কটের দাবী জানান। সুমির জেঠা জানান, ভাতিজির কারণে মামলা-মোকদ্দমায় যেতে চাচ্ছিনা না। তবে সামাজিকভাবে ওকে হেয়প্রতিপন্ন করতে হবে। ওই শিবির নেতার বিরুদ্ধে একাধিক নাশকতার মামলা রয়েছে। বর্তমানে সে জামিনে মুক্ত।