
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের অধিকার সকল দলের রয়েছে কিন্তু কর্মসূচির নামে জনগণের শান্তি ও স্বস্তি বিনষ্টের কোনো অপচেষ্টা করলে সমুচিত জবাব দিবে সরকার।
আজ রোববার কক্সবাজার জেলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর শেখ হাসিনা ঘাঁটি সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের সূচনা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
এ সময় কক্সবাজার লিংকরোড় হতে লাবনী মোড় পর্যন্ত চারলেনের মহাসড়কের কাজ শীঘ্রই শেষ হবে বলেও জানান তিনি।
কক্সবাজার প্রান্তে অন্যান্যের মধ্যে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সংসদ সদস্য সাইমুন সরওয়ার কমল, আশিক উল্লাহ রফিক, জাফর আলম এবং সড়ক ও জনপথ অধিদফতর চট্টগ্রাম জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীসহ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি করাই বিএনপির গণতন্ত্র। ‘সম্প্রতি বাসে আগুন দেয়ার পর বিএনপি আবার ফিরে গেছে জ্বলাও পোড়াও রাজনীতিতে। অপরাজনীতির জন্য জনগণ তাদের আন্দোলনে সাড়া না দেয়ায় তারা আবার প্রতিশোধ নিতে আগুন সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে।’
হুঁশিয়ার করে দিয়ে তিনি বলেন, ‘ বিএনপি অস্বীকার করলেও ভিডিও চিত্রে সব প্রকাশিত হয়েছে। মুখচ্ছবি কখনো মুখোশ দিয়ে ঢাকা যায় না, কথামালার চাতুরী দিয়ে সব ভুলিয়ে রাখা যায় না।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি যেকোনো নির্বাচনে পরাজিত হলেই দোষ চাপায় সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর। আর জয়ী হলে বলে সরকার হস্তক্ষেপ না করলে আরও বেশি ভোটে জিততে পারত। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে বিএনপির যে দলগত ভূমিকা জনগণ প্রত্যাশা করে, তা থেকে তারা অনেক দূরে অবস্থান করছে।’
তিনি বলেন, ‘৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ বদলে দিয়েছে কক্সবাজারের সুনীল সমুদ্র অবলোকনের দৃশ্যপট। মেরিন ড্রাইভকে ঘিরে সম্প্রসারণের উদ্যোগও ইতোমধ্যেই নেয়া হয়েছে। রামু, ফতেখারকুল, মরিচ্যা জাতীয় মহাসড়ক উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে।’