
চুয়াডাঙ্গা ও রাজবাড়িতে কথিত বন্দুকযুদ্ধে পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক কমান্ডার ওল্টু মণ্ডল (৪৩) ও পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি লাল পতাকা বাহিনীর বর্তমান প্রধান করম অালী ওরফে কদম নিহত হয়েছেন।
বুধবার দিবাগত রাতে র্যাব ও পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তারা নিহত হন।
জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক কমান্ডার ওল্টু মণ্ডল (৪৩) নিহত হয়েছেন।
বুধবার রাত ১টার দিকে উপজেলার খাসকররা গ্রামের কুড়ির মাঠে এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে।
নিহত ওল্টু মণ্ডলের বাড়ি উপজেলার তিয়রবিলা গ্রামে। তার বাবার নাম ঝড় মণ্ডল।
র্যাব-৬ এর ঝিনাইদহ আঞ্চলিক কমান্ডার মেজর মনির আহমেদ জানান, রাতে র্যাবের একটি টহলে গেলে র্যাবকে লক্ষ্য করে মাঠ থেকে গুলি ছুড়তে থাকে সন্ত্রাসীরা। র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। বেশ কিছুক্ষণ চলে গুলির লড়াই। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হঁটে।
পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে রাত ৩টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ সময় দুই র্যাব সদস্য আহত হন।
তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান ও ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও আলমডাঙ্গা সার্কেল) তরিকুল ইসলাম জানান, নিহত ব্যক্তিকে দেখে এলাকাবাসী জানায় তার নাম ওল্টু। তিনি চরমপন্থী সংগঠন পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক কমান্ডার। ওল্টুর বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় হত্যা ও চাঁদাবাজিসহ ৬টি মামলা রয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
এদিকে, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের চরদলন্দী এলাকায় বুধবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি লাল পতাকা বাহিনীর বর্তমান প্রধান করম অালী ওরফে কদম নিহত হন।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে ১টি একনলা বন্দুক, ১টি ওয়ান শুটার গান ও ৩ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে। নিহত করম অালী উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের তেনাপচা গুচ্ছগ্রাম এলাকার কুব্বাত অালী শেখের ছেলে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর্জা অাবুল কালাম অাজাদ জানান, নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন লাল পতাকা বাহিনীর বর্তমান প্রধান ও ৫টি মামলার অাসামি করম অালীকে অাটক করা হয়। পরে রাতে ডিবি ও গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ ধৃত অাসামিকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযানে গেলে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রসীরা পুলিশের ওপর গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে নামে। কদম আলী আহত হন। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন।সূত্র- আরটিএনএন