
কুমিল্লা নগরীতে জিল্লুর রহমান (৫০) নামের এক যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই ইমরান হোসাইন চৌধুরী কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ও সিটি করপোরেশনের তিন কাউন্সিলরসহ এজাহার নামীয় ২৪ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এ মামলায় দুপুর পর্যন্ত আব্দুল কাদের (৪০) নামের এজাহার নামীয় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মামলাটি করেন ইমরান হোসাইন চৌধুরী।দুপুরে ফোনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সদর দক্ষিণ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কৃষ্ণ ধর।
গত বুধবার সকাল ৭টার দিকে যুবলীগ কর্মী জিল্লুর রহমান তার স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রী জাহানারা বেগমকে নিয়ে বাড়ির পাশে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় মামলায় অভিযুক্তরা ধারালো চাপাতি, ছোরা, ডেগার, ছেনি দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
নিহত জিল্লুর সদর দক্ষিণ উপজেলার চৌয়ারা গ্রামের প্রয়াত মোখলেছুর রহমান চৌধুরীর ছেলে। পারিবারিক জীবনে তিনি তিন ছেলে সন্তানের জনক।
তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মহিলা আসনের এমপি আঞ্জুম সুলতানার অনুসারী ছিলেন। অপরদিকে মামলায় অভিযুক্তরা সদর আসনের এমপি হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিনের নেতাকর্মী, সমর্থক ও অনুসারী বলে জানা গেছে।
মামলায় অভিযুক্তরা হচ্ছেন-মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ (৫২), স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম রিন্টু (৪৫), ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হাসান (৪০), ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুস সাত্তার (৩৪) এবং ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর খলিলুর রহমান প্রকাশ খলিল (৪৫)।
সদর দক্ষিণ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কৃষ্ণ ধর জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত এ মামলায় এজাহার নামীয় ৯ নম্বর আসামি আব্দুল কাদেরকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও ডিবির অভিযান চলছে।
এদিকে পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এখানে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ও এলাকায় আধিপত্যের বিস্তার নিয়ে বিরোধ ছিল। এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত রয়েছে সকলকে গ্রেফতার করা হবে।