খবরবাড়ি ডেস্কঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী থানার দক্ষ-চৌকস অফিসার এএসআই ফজির আহমেদ (৩৫) সাজাপ্রাপ্ত আসামীর সন্ধান শেষে কর্মস্থল ফেরার পথে বুধবার সন্ধ্যায় দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে এক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যু কালে দুই মেয়ে, স্ত্রী, বাবা-মা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন ও সহকর্মীসহ অসংখ্য গুণাগ্রাহী রেখে গেছেন।
থানা সূত্রে জানা যায়, এএসআই ফজির আহম্মেদ অন্যান্য দিনের ন্যায় বুধবার বিকেলে তার কর্মস্থল পলাশবাড়ী থানা থেকে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে পলাশবাড়ী থানা বেরিয়ে দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় সাজাপ্রাপ্ত জনৈক আসামীর বাসস্থানের ঠিকানা সনাক্ত করতে যান। সেখানে সন্ধ্যা নাগাদ বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে কর্তব্য পালন শেষে পলাশবাড়ী থানায় ফিরতেছিলেন। এসময় নবাবগঞ্জ উপজেলার সোনামূখী মোড় নামক স্থানে পিছন থেকে একটি খালি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-১১-৯৯৯৩) তাকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে এএসআই ফজির চলন্ত ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হয়। এসময় স্থানীয়দের সহায়তায় ফুলবাড়ী থানার এএসআই নাসির উদ্দিন গুরুতর আহত ফজিরকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে দলারদরগায় বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টার দিকে এএসআই ফজির আহমেদ মারা যান। সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ফজিরের ৮ বছর ও ৪ বছর বয়সী দুই মেয়ে রয়েছে। এএসআই ফজির দিনাজপুর কোতোয়ালী থানার জামালপুর ছড়াকুড়ি গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে। তিনি অন্য কর্মস্থল থেকে বিগত ২০১৫ সালের ২৩ মার্চ পলাশবাড়ী থানার কর্মস্থলে যোগদান করেন। এএসআই ফজির সোয়া ২ বছর পলাশবাড়ী থানায় কর্মরত থাকাকালীন মাদক-জুয়া ও সন্ত্রাস-নাশকতাসহ সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সততার সহিত সাহসী ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি একাধারে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে সৎ-দক্ষ ও চৌকস পুলিশ অফিসার হিসেবে পলাশবাড়ী থানা এলাকায় ব্যাপক পরিচিত ছিলেন। মোটরসাইকেল সড়ক দূর্ঘটনায় আকস্মিক অকাল মৃত্যুতে পলাশবাড়ী থানায় কর্মরত পুলিশের সকল সদস্য ছাড়াও স্থানীয় সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠন সমূহের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের জনমনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।