
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অস্টম আসরের সপ্তম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং সিন্ধান্ত নেই দক্ষিণ আফ্রিকা। পাকিস্তানের পেসারদের বিপক্ষে এজবাস্টনে দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা ছিল ভালো। বামিংহামের এজবাস্টনে পাকিস্তানি বোলারদের তোপের মুখে পড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে হাসান আলি, ইমাদ ওয়াসিমদের সামলে দুইশোর ওপরে রান তুলেছে প্রোটিয়ারা। ৫০ ওভারই ব্যাট করেছে তারা। ৮ উইকেট হারিয়ে রান তুলেছে ২১৯। জয়ের জন্য পাকিস্তানের সামনে এবি ডি ভিলিয়ার্সের দল ছুড়ে দিয়েছে ২২০ রানের লক্ষ্যমাত্রা।
বাঁচা-মরার ম্যাচে বুধবার এজবাস্টনে পাকিস্তানের বোলাররা নিজেদের উজাড় করে দিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকাকে শুরুতে ধাক্কাটা দিয়েছিলেন দলটির স্পিনাররা। এরপর পেসাররা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নিয়েছেন। তাতে ছন্নছাড়া হয়ে যায় প্রোটিয়াদের বিস্ফোরক ব্যাটিং লাইনআপ। ১১৮ রানে ৬ উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকাকে এরপর টেনে তোলেন ডেভিড মিলার। সপ্তম উইকেটে ক্রিস মরিস ও অষ্টম উইকেটে কাগিসো রাবাদার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ দুটি জুটি গড়েছেন তিনি। অপরাজিত থেকেছেন ৭৫ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকাকে দিয়েছেন লড়াই করার পুঁজি। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে পাকিস্তানের দারুণ বোলিং পারফরম্যান্সে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা করেছে ৮ উইকেটে ২১৯ রান।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগের ম্যাচের মতো এদিনও দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের শুরুটা হয়েছিল ধীরগতির। দেখে শুনে ব্যাট চালিয়েছেন দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও হাশিম আমলা। মোহাম্মদ আমির ও জুনায়েদ খানের বলগুলো খেলেছেন মেপে মেপে। ৮ ওভারে দুজনে মিলে যোগ করে ফেলেন ৩৯ রান।
নবম ওভারে পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ পরিবর্তন আনেন বোলিংয়ে। বাঁহাতি স্পিনার ইমাদ ওয়াসিম আক্রমণে এসেই দলীয় ৪০ রানে ভেঙে দিয়েছেন প্রোটিয়াদের উদ্বোধনী জুটি। বিদায় করেছেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আমলাকে। এলবিডাব্লিউ হয়ে ফেরার আগে আমলা করেছেন ১৬ রান।
এরপর ১ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট তুলে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে চাপে ফেলে পাকিস্তান। ডি কক আউট হয়েছেন মোহাম্মদ হাফিজের বলে। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩৩ রান। ৪৯ বলের ইনিংসে মাত্র ২টি বাউন্ডারি মেরেছেন তিনি। এরপর ইমাদ নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেছেন এবি ডি ভিলিয়ার্সকে। আগের ম্যাচেও ব্যর্থ প্রোটিয়া অধিনায়ক এবার মেরেছেন ‘গোল্ডেন ডাক’।
তারপর ‘হাসান আলি শো’। ৩ উইকেট শিকার করে ডানহাতি পেসার কাঁপিয়ে দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে। তার তোপে পড়ে ফ্যাফ ডু প্লেসি ২৬, জেপি ডুমিনি ৮ ও ওয়েইন পারনেল শূন্য রানে সাজঘরে ফিরেছেন। তাতে ১১৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় দক্ষিণ আফ্রিকার বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইনআপ। পরপর দুই বলে ডুমিনি ও পারনেলকে আউট করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগালেও কাঙ্ক্ষিত কীর্তিটি গড়তে পারেননি হাসান।
ধুঁকতে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস এরপর মেরামত করেছেন মিলার। সপ্তম উইকেটে মরিসের সঙ্গে ৪৭ ও অষ্টম উইকেটে কাগিসো রাবাদার সঙ্গে ৪৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ দুটি জুটি গড়েছেন তিনি। ব্যক্তিগত ২২ রানে জুনায়েদের বলে বোল্ড হয়েছিলেন মরিস। কিন্তু নো বলের কারণে জীবন ফিরে পান। তবে সুযোগটা কাজে লাগিয়ে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ফিরেছেন ২৮ রান করে। ঐ জুনায়েদের বলেই।