
এক টাকার মাষ্টার লুৎফর রহমানকে ২৫ অক্টোবর (রবিবার) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থ প্রদান করেন গাইবান্ধার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আলমগীর কবির ও জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দসহ সৃজনশীল গাইবান্ধার এডমিন মো. মেহেদী হাসান, সভাপতি নিশাদ বাবু, সাধারন সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শাকিল প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ৪৪ বছর আগে দিনে এক টাকা ফি নিয়ে শিক্ষার্থী পড়ানো শুরু করেন লুৎফর রহমান। এখন তাঁর বয়স ৭০। এর মধ্যে কত কিছুর দাম বাড়ল। কিন্তু লুৎফর রহমানের প্রাইভেট পড়ানোর ফি আর বাড়েনি। এলাকার লোকজনের কাছে তিনি পরিচিতি পেয়েছেন ‘এক টাকার মাস্টার’ নামে। লুৎফর রহমানের বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাগুড়িয়া গ্রামে। তিনি বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন। কিন্তু পাঠদানের উৎসাহ এতটুকু কমেনি। এখন দিনে ৩৫ জন শিক্ষার্থীকে পড়ান তিনি।
লুৎফর রহমান বলেন, এই এলাকার বেশির ভাগ মানুষ গরিব। ছেলেমেয়েদের পড়াতে চান না। প্রাইভেট পড়াতে পারেন না। তাই তিনি নাম মাত্র ফি নিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াচ্ছেন। এতে তাঁর তেমন লাভ না হলেও গরিব মানুষের ছেলেমেয়ে শিক্ষিত হচ্ছে। এটাই তাঁর লাভ।
জেলা শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বাগুড়িয়া। এ গ্রামের ভেতর দিয়ে ব্রহ্মপুত্র বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ তৈরি করা হয়েছে। বাঁধের দুই ধারে নদীভাঙা মানুষের বাস। বেশির ভাগ মানুষের একচালা টিনের ঘর। এখানকারই একটি বাড়ি লুৎফর রহমানের।