যুক্তরাষ্ট্রের একটি নাইটক্লাবে বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনে। এই হামলায় একজনের অবস্থা আশঙ্কজনকসহ এখন পর্যন্ত তিনজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
হিউস্টন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জনসন জানিয়েছেন, নাইটক্লাবে গোলাগুলিতে এ পর্যন্ত তিনজন মারা গেছেন। অপর একজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
উল্লেখ্য যে, যুক্তরাষ্ট্রে গত কয়েক বছরে বন্দুক হামলার ঘটনা অনেক বেড়ে গেছে। এর আগে ২০১৭ সালের নভেম্বরে টেক্সাসের সাদারল্যান্ড স্প্রিংয়ের একটি গির্জায় বন্দুক হামলায় ২৬ জন নিহত হয়।
ওই হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছিলেন, বিশ্বের অন্য আরও দেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রেও মানসিক অবসাদগ্রস্তের সংখ্যা বাড়ছে। ট্রাম্পের এই মন্তব্য ঘিরে সে সময় বিস্তর সমালোচনা হয়েছিল।
এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গোলাগুলির সময় নাইটক্লাবটিতে কমপক্ষে ৩০ জন ছিলেন। এই হামলায় দোষীদের খোঁজে শহরজুড়ে জোরদার তল্লাশি শুরু হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত করতে পারেননি পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত পৌনে ১০টার দিকে হিউস্টন শহরের ডিডি স্কাই ক্লাবে হামলা চালানো হয়। পুলিশের ধারণা, কমপক্ষে দুইজন বন্দুকধারী হামলা চালিয়েছে।
হামলার সময় ওই নাইটক্লাবে থাকা কেড ট্রামেল নামের এক ব্যক্তি বলেন, তিনি ও তার বন্ধু প্রাণ হাতে করে নাইটক্লাব থেকে পালিয়ে আসার আগ পর্যন্ত ৭ থেকে ১০ বার গুলির শব্দ শুনেছেন। গুলি চলার সময় মেঝেতে পড়ে গিয়ে কোনো ভাবে নিজেদের রক্ষা করেছেন। তারপর, পড়িমরি করে তিনি ও তার বন্ধু নাইটক্লাব থেকে পালিয়ে আসেন। এই যুবক একজন লোকাল হিপহপ শিল্পী।
২০ বছর বয়সী ট্রামেলের কথায়, গুলির শব্দে ক্লাবের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। নিজের প্রাণ রক্ষায় যে যার মতো দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে ছুটতে থাকে। ভয়ে তারাও দৌড়ে পালান। যত দ্রুত সম্ভব নাইটক্লাবের বাইরে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেছিলেন তারা।