
গাইবান্ধা জেলার গোয়েন্দা শাখার এসআই মোঃ জহুরুল হক সঙ্গীয় ফোর্সসহ ইং ১৮-৯- ২০২০ তারিখ রাতে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা কালে ইং ১৯-৯২০২০ তারিখ রাত ৩.১৫ ঘটিকা সময় খোলা হাটি ফকির পাড়া জামে মসজিদ এর নিকট (১) মোঃ রায়হান মিয়া (২৯) পিতা-মজনু মিস্ত্রি, সাং-বাড়াই পাড়া (২) মোঃ শাকিল মিয়া (২৩) পিতা-মোঃ সাইফুল মিয়া (৩) মোঃ রাসেল মিয়া (৩৫) পিতা-মোহাম্মদ সবুর উদ্দিন (৪) রিজু মিয়া (৩৩) পিতা-মোঃ ইসাহাক আলী সকলের সাং- পশ্চিম কমোরনই থানা ও জেলা গাইবান্ধাগন এসে জানায়, জনৈক নুর আলম (২৮) পিতা-নুরুন্নবী সাং- কমোরনই থানা ও জেলা গাইবান্ধা তার বাড়িতে মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট মজুদ করে তার টিনের ছাপড়া ঘরে শুয়ে আছে। রাসেল ও রিজুকে দেখাইয়া রায়হান বলে মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট কোথায়, কোথায় আছে তা দেখাইয়া দিবে এবং বাড়িও দেখাইয়া দিবে। রাসেল ও রিজুকে ডিবি পুলিশ আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদকালে এস আই জহুরুল হক গোপনে নুর আলম সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করে। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে রায়হান ও শাকিল কৌশলে উক্ত স্থান থেকে পালিয়ে যায়। পরে রাসেল ও রিজুকে নিয়ে স্থানীয় মেম্বার, গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে নুর আলমের টিনের ছাপরা ঘরে গেলে রাসেল সুনির্দিষ্টভাবে বেড়ায় ঝুলানো শপিং ব্যাগে ও বেড়ার ভাঁজে পলিথিনের পোঁটলায় ইয়াবা আছে মর্মে দেখাইয়া দেয়। রাসেলের কথা বার্তা সন্দেহজনক হলে জিজ্ঞাসাবাদে উপস্থিত লোকদের সম্মুখে স্বীকার করে, কয়েকদিন আগে নুর আলম ও তার চাচা মজিবরের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে দ্বন্দ্ব ও মামলা হলে নুর আলম জামিনে আসে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মজিবরের স্ত্রী রানী বেগম আবারো মামলা দেয়ার জন্য রায়হান, শাকিল, রিজু ও তার সঙ্গে গোপন শলাপরামর্শ করে। রানী বেগমের নির্দেশে রাসেল ও রায়হান গোপনে রাত ৮টার সময় নুর আলমের টিনের ছাপড়া ঘরে ইয়াবার পোটলা শপিং ব্যাগের মধ্যে রেখে দেয়। ডিবি পুলিশকে সংবাদ দিয়ে নুর আলমকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর পরিকল্পনা করে। ঘটনার পর হতে রায়হান শাকিল ও রানী বেগম পলাতক আছে। আসামিদের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা সদর থানার মামলা নং-৩৬ তাং ১৯-৯-২০২০ ইং ধারায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন, ২০১৮ এর ৩৬(১)টেবিলের ১০(ক)/৪১ দায়ের করা হয়েছে।