
কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে মিয়ানমার থেকে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে। তিন মাস পর শুক্রববার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে-বিকালে দুটি ছোট ট্রলারে ৩০ মেট্রিক টন পেয়াঁজ টেকনাফ স্থলবন্দর ঘাটে এসে পৌঁছে। তবে আমদানিকৃত পেয়াঁজগুলো কাগজপত্র জমা দিলে শনিবার সকালে খালাস শেষে ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো সম্ভব বলে বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন,‘তিন মাস পর মিয়ানমার থেকে শুক্রবার সকালে দুটি ট্রলারে করে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে। কাগজপত্র বুঝিয়ে পেলে শনিবার খালাস করা হবে। সংকট মোকাবিলায় ব্যবসায়ীদের পেয়াঁজের আমদানি বাড়াতে উৎসাহিত করা হচ্ছে বলে জানায় এই কর্মকর্তা। শুক্রবার সকালে থেকে বিকেল পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজভর্তি ট্রলার টেকনাফ স্থলবন্দরে পৌঁছায়। এসব পেয়াঁজ আমদানি করেছেন ব্যবসায়ী আরফাতুল রহিম। তবে শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় আমদানিকৃত পেঁয়াজের ২ বস্তাগুলো ট্রলার পরে আছে। এর আগে সর্বশেষ জুলাই মাসের শুরু দিকে পেঁয়াজের ট্রলার এসেছিল।
এদিকে মিয়ানমারের মংডু-আকিয়াব বন্দরে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার কারণে রবিবার গত (৫ জুলাই) থেকে সেখান থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে কোনও বাণিজ্যিক ট্রলার আসনি বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবছার উদ্দিন বলেন, ফের মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।
(শুক্রবার) ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ টেকনাফ স্থলবন্দরে এসে পৌঁছায়। এসব পেঁয়াজ যত দ্রুত সম্ভব মধ্যে খালাস করে বাজারো পৌছানো হবে। তিন মাস বন্ধর থাকার পর মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ এলো।
টেকনাফ শুল্ক বিভাগ জানায়, মিয়ানমার থেকে এ বন্দর দিয়ে গত নভেম্বর মাসে ২১ হাজার ৫৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এছাড়া অক্টোবর মাসে ২০ হাজার ৮৪৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। সেপ্টেম্বর মাসে আমদানি হয় ৩৫৭৩ দশমিক ১৪১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এবং আগস্ট মাসে এসেছে ৮৪ মেট্রিক টন এবং সর্বশেষ জুলাই মাসে এসছিল ৮৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ।
টেকনাফ স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে চলতি বছরের জুলাই মাসের শুরু থেকে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজসহ সকল ধরনের মালামাল বন্ধ ছিল। শুক্রবার এক ব্যবসায়ীর কাছে দুটি ট্রলারে করে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজে এসেছে। এটি অতন্ত ভাল দিক, সংকট মোকাবেলায় ব্যবসায়ীদের পেয়াঁজের আমদানি বাড়াতে উৎসাহিত করছি।