
বিএনপির জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের জন্য আসন্ন ৫টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রবিবার (৩০ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা পরিষদের উদ্যোগে “বাংলা ও বাঙালির হৃদয়ে লেখা নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বর্তমান” শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা অতীতে দেখেছি, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য। আশা করি এবার সেই পথে হাঁটবে না। তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক, এটিই আমাদের কামনা।’
‘বিএনপিকে ধন্যবাদ জানানোর কারণ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সামনে যে উপনির্বাচন হতে যাচ্ছে সেই নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য বিএনপিকে আমি ধন্যবাদ জানাই। তবে আশা করবো গন্ডগোল পাকানোর জন্য তারা নির্বাচনে আসবে না, জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের জন্যই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।’
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে সবচেয়ে সুবিধাভোগী পরিবার হচ্ছে জিয়াউর রহমানের পরিবার। ৭৫ এর পর জিয়াউর রহমান রাজাকারদের খুঁজে খুঁজে বের করে রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসিত করেছেন এবং ৭১ এর পরে যে ১১ হাজার রাজাকার কারাগারে ছিল তাদেরকে মুক্তি দিয়েছেন। যাদের শাস্তি হয়েছিল তাদের শাস্তি তিনি মওকুফ করে দিয়েছেন। এটি কেন? তিনি যদি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হতেন সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা হতেন তাহলে এদেরকে মুক্তি দিতে পারতেন না।’
পরিষদের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার হামিদুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- সাবেক আইজিপি একেএম শহীদুল হক, সাবেক ছাত্রনেতা ও সাংবাদিক মানিক লাল ঘোষ, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম সোলায়মান চৌধুরী সুজন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা প্রমুখ।
তিনি বলেন, ‘যাদের দলটাই হচ্ছে সন্ত্রাসীদের ওপর প্রতিষ্ঠিত তারা আজকে সন্ত্রাস নিয়ে কথা বলে। গুম, খুন নিয়ে কথা বলে। এই গুম-খুনের রাজনীতির মধ্য দিয়ে বিএনপির রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠা, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমানের উত্থান এবং রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতায় আসীন হওয়া। এরপর হত্যার রাজনীতিকে অব্যাহত রেখে তিনি তার ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করেন। সেই ধারা অব্যাহত রেখেছেন বেগম খালেদা জিয়া।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, ২০০২ সালে অপারেশন ক্লিন হাট পরিচালনা করা হয়েছিল। সেই অপারেশনে প্রায় ১০০ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। সেই ১০০ মানুষের হত্যার বিচার যাতে না হয় সেজন্য বেগম খালেদা জিয়া ইনডেমনিটি আদেশ দিয়েছিল। অপরদিকে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বাঁচানোর জন্য ইনডেমিনিটি আদেশ জারি করেছে। তারা দুজনেই হত্যার রাজনীতি পরিচালনা করেছেন। পেট্রোল বোমার কথা নাইবা বললাম, আমি তাদেরকে বলবো আয়নায় নিজের চেহারা দেখার জন্য।’