
জনসাধারণকে পুলিশি ব্যারিকেডে আটকিয়ে সরকার ক্ষমতার বেশিদনি দীর্ঘায়িত হবে না বলে মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি তো ক্ষমতায় টিকে আছেন বন্দুকের নলের জোরে। বন্ধুকও অনেক সময় কাজ করে না, অকার্যকর হয়ে যায় জনগণের শক্তির কাছে।
আজ বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণতন্ত্র পুণরুদ্ধার আন্দালনে আয়োজিত ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারের মুক্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ইসহাক সরকার কি অপরাধ করেছে যে ওর নামে ৩০০টি মামলা। সে তো ফরিদপুরে ছাত্রলীগ নেতার মত টাকা পাচার করেনি। সে তো খালেদ ,শামীম, সম্রাটের মত ক্যাসিনো ব্যবসা করেনি, তারপরও কেন আজ সে দুই বছরের অধিককাল কারাগারে। টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িত ইসহাক সরকার? সে কি ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত? যারা দীর্ঘ ১০ বছর প্রচণ্ড প্রতাপে ক্যাসিনো ব্যবসা করে আসছে এরা কারা? এরা সবাই ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সঙ্গে টাকা নিয়ে দর কষাকষি করে যে, ছাত্রলীগের জন্য এই টাকাটা দিতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবদুস সাত্তার পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক মুন্নাসহ দলের কয়েক শত নেতাকর্মী।
তিনি বলেন, আপনি প্রধানমন্ত্রী ১৫ই আগস্ট এবং ২১শে আগস্ট নিয়ে কত কথাই বলছেন স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে।
তাদের দোষ কি? রাজনৈতিক নেতা যখন স্বাধীনতা ঘোষণা করে করতে ব্যর্থ হয়েছেন, তখন জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন এটা সহ্য করতে পারছে না অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একজন সেনাবাহিনীর মেজর স্বাধীনতা ঘোষণা করলেন, এটা তার সহ্য হচ্ছে না, তাই তিনি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে মনগড়া কথা বলছেন। তিনি জানেন তিনি কথা বললে কেউ কিছু বলতে পারবে না, কারণ সমস্ত মিডিয়া তার নিয়ন্ত্রণে। গণতন্ত্রের স্বাধীনতা গোরস্থানে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হাওয়ায় ভেসে বেড়ায়।
বিএনপি’র এই নেতা প্রশ্ন রেখে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মনের ইচ্ছা কি আপনারা জানেন? তার মনের ইচ্ছা আমি যা বলব ওইটাই বিশ্বাস করতে হবে, আমি অন্যায় বলবো, মিথ্যা বলবো, কলঙ্ক লেপন করব, বাজে কথা বলবো দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে সুতরাং তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিচারবহির্ভূত হত্যা-গুম একটার পর একটা তিনি কর্মসূচি সাজিয়ে রেখেছেন।