ব্রিটেনের পুলিশ লন্ডন হামলার জন্য দায়ী তিন ব্যক্তির পরিচয় সনাক্ত করেছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে তাদের নাম প্রকাশ করেনি। নিহতদের মধ্যে একজন ফরাসি ও এক কানাডার নাগরিক রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পূর্ব লন্ডনের কিছু এলাকায় তল্লাসি চলছে। হামলাকারীদের একজনের বাড়িতে তল্লাসি চালানো হয়েছে।
ব্রিটেনের সন্ত্রাস বিরোধী বাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন নিহত তিন হামলাকারীকে প্রতিহত করতে আটজন পুলিশ কর্মকর্তা মুল ভূমিকা রেখেছেন।
তারা তিন হামলাকারীকে হত্যা করার সময় ৫০ টি গুলি ছুড়েছেন। তিন হামলাকারীই তাতে নিহত হয়েছে।
হামলাকারীদের পরিচয় জানা গেলেও এখনি তা প্রকাশ না করতে গণমাধ্যমকে অনুরোধ করা হয়েছে।
ওদিকে পুলিশ পূর্ব লন্ডনের বার্কিং এলাকায় হামলাকারীদের একজনের ফ্ল্যাটে তল্লাসি চালিয়েছে।
তল্লাসি চালানোর সময় পুলিশ সেখানে কিছু নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এরপর ঐ এলাকা থেকে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যার মধ্যে সাত জন নারী রয়েছেন।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন হামলাকারী ঐ ফ্ল্যাটে স্ত্রী ও দুই সন্তান সহ তিন বছর ধরে বাস করছিলেন।
একজন প্রতিবেশী জানিয়েছেন গত দুই বছর ধরে তার মধ্যে উগ্রবাদী চিন্তাভাবনা দেখছিলেন তিনি।
সে নিয়ে পুলিশকেও জানিয়েছিলেন কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
ওদিকে ব্রিটেনে প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতারা এখন এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একে অপরের সমালোচনা করে বক্তব্য দিচ্ছেন।
লেবার পার্টি নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, জনগণের নিরাপত্তা সবচাইতে গুরুত্ব পাওয়া উচিত। সে জন্য নিরাপত্তাবাহিনীকে যেকোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার পূর্ণ কর্তৃত্ব দেয়া উচিত। কিন্তু পুলিশ বাহিনীতে ২০ হাজার জনবল কমিয়ে সেটি কোনদিন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, কিপটেমি করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব নয়।
টরি পার্টি জেরেমি করবিনের পাল্টা সমালোচনা করে বলেছে তিনি মরিয়া হয়ে নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
এদিকে ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। এই হামলার নিন্দা চলছে বিশ্বজুড়ে।
কথিত নিউজ এজেন্সি আমাক-এর বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এক ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে এই হামলা চালানো হয়। আরব বিশ্ব থেকে ব্রিটিশ সেনাদের সরিয়ে না নেওয়াকেই এই হামলার কারণ বলে দাবি করা হয়।
শনিবার রাতের ঐ হামলায় সাতজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৫০ জনের মতো।
সূত্র: বিবিসি