
করোনা থেকে বাঁচতে সকলকেই এক প্রকারের যুদ্ধ করতে দেখা যাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিধিতে অনুসারে কেউ যেন খালি হাতে মুখ, চোখ, স্পর্শ না করে। এর থেকে দূরে থাকতেই সকল শ্রেনীর মানুষ মাস্কের প্রতি ঝুঁকেছে। এই মাস্কেও রয়েছে মত পার্থক্য, কাউর পছন্দ এন-৯৫, কেউ বা আবার বলছেন সার্জিক্যাল মাস্ক।
মাস্কের কাঙ্খিত এই প্রশ্নে হয়রান সবাই। তবে অন্য সকল মাস্কের থেকে এন৯৫ এ ডাক্তরদের আস্থা। বন্ধু দেশ ভারতের মেডিসিনের চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাসের মতে, এন৯৫ মাস্ক, যেগুলিতে ভালভ রেসপিরেটর নেই, সেই মাস্কই সবথেকে ভাল। এতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু বাজার এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীতে ছেয়ে গিয়েছে। মাস্কের কালোবাজারিও হচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষ সংশয়ে রয়েছেন যে কী করবেন। সে ক্ষেত্রে ত্রিস্তরীয় সার্জিক্যাল মাস্ক পরাই ভাল। তবে বিশ্বস্ত দোকান থেকে এন৯৫ কিনলে ঠকে যাওয়ার আশঙ্কা কম, এমনটাই উল্লেখ করেন অরিন্দমবাবু।
দেশটির আরেক চিকিৎসক কল্লোল সেনগুপ্তের মতে, চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য এই এন৯৫ মাস্ক বাধ্যতামূলক। তাঁদের জন্যও নির্দিষ্ট সংস্থার তরফে এন৯৫ মাস্ক সরবরাহ করা হচ্ছে। একমাত্র যে সংস্থা মাস্ক তৈরি করছে, তাদের ক্ষেত্রেই বলা সম্ভব যে আসল মাস্ক কোনটা। একবার হাতে নিয়েই এন৯৫ মাস্কটি আসল না নকল তা চিকিৎসকদের পক্ষেও বোঝা মুশকিল। সে ক্ষেত্রে সরকারের তরফে যদি ব্যবস্থা করে তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া যায়, তবেই এর সমাধান সম্ভব বলে উল্লেখ করেছেন কল্লোলবাবু।
কী কী দেখলে বোঝা যাবে যে মাস্কটি আসল এন৯৫ নয়
১. ফিল্টারিং রেসপিরেটরে কোনও মার্কিং না থাকলে
২. ফিল্টারিং মাস্কে কোনও টিসি নম্বর না থাকলে
৩. ক্যাপিটাল লেটারে এনআইওএসএইচ লেখা না থাকা বা ভুল বানানে লেখা
৪. সিকোয়েন্স বা কোনও নকশাদার কাপড় ব্যবহার হলে
৫. শিশুদের এই মাস্ক ব্যবহারে সম্মতির উল্লেখ থাকলে (এনআইওএসএইচ কখনওই শিশুদের ক্ষেত্রে এ জাতীয় মাস্কের কথা বলেনি)
৬. ফিল্টারিং রেসপিরেটর মাস্কে হেডব্যান্ড থাকার কথা। ইয়ারলুপ নয়। কারণ হেডব্যান্ড থাকলেই তা মুখে চেপে বসবে। সংক্রমণের আশঙ্কা কমবে।