
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে রোজিনা বেগম (২৬) নামে এক গৃহবধূকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার পাষণ্ড স্বামী। স্ত্রী হত্যার অভিযোগে ওই গৃহবধূর স্বামী ছামিউলকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল ২৪ জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের পাইটকাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত গৃহবধূ রামধন (মওয়ামারী) গ্রামের ওয়ারেছ আলীর মেয়ে এবং হত্যাকারি স্বামী ছামিউল পাইটকাপাড়া গ্রামের রহমান মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, পারিবারিক দুরবস্থার কারণে ঢাকায় পোশাক শ্রমিকের কাজ করতেন গৃহবধূ রোজিনা। আর তার স্বামী ছামিউল সেখানে কাঠমিস্ত্রীর কাজ করতেন। তখন থেকেই দু’জনের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। প্রায় একমাস আগে ঢাকা থেকে রোজিনা তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। পরে ছামিউল স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় সালিসের মাধ্যমে রোজিনাকে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন।
পারিবারিক বিষয়ে শুক্রবার সকাল থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। এরপর সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের বিলে মাছ মারার কথা বলে ওই গৃহবধূকে বাহিরে নিয়ে যায় ছামিউল। বাড়ির পাশেই বিলের মাঝে নিয়ে গিয়ে কাঠমিস্ত্রীর কুড়াল দিয়ে গলায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে রোজিনাকে হত্যা করে ছামিউল। ওই গৃহবধূর চিৎকার শুনে তার শ্বশুর-শাশুড়ি এগিয়ে এলে ছামিউল তাদেরকে ধাক্কা দিয়ে পানিতে ফেলে দেয়। এ সময় তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে ছামিউল পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন।
নিহত গৃহবধূর বাবা ওয়ারেছ আলী জানান, বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে তাদের ঝগড়াঝাটি হতো। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিস বৈঠকও হয়। প্রায় একমাস আগে সালিসের মাধ্যমে আমার মেয়েকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। আজকে ওই ছামিউল আমার মেয়েটাকে মেরে ফেলল। আমি ওই পাষণ্ডের শাস্তি চাই।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহিল জামান বলেন, এ ঘটনায় নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে। থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।