গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সদর উপজেলার লক্ষীপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদলের বিরুদ্ধে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ছাত্রীর চাচা বাদী হয়ে শনিবার বিকেলে সদর থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মেহেদী হাসান।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও লক্ষীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদল আগে থেকেই নানাভাবে উত্যক্ত করে আসছে। বিষয়টি জানা জানি হলে তাকে পরিবারিক ভাবে পার্শ্ববর্তী অন্য একটি বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীতে ভর্তি করে দেওয়া হয়। এরপরেও মোস্তাফিজুর তাকে নানাভাবে উত্যক্ত করে।
ঘটনার দিন রাতে গত ২৭ মে মোস্তাফিজুর রহমান বাদল মেয়েটির বাড়িতে যায়। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় ওই ছাত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। লোকজন এগিয়ে আসার আগেই মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায় বাদল।
অভিযোগে আরো উল্লেখ আছে, এ ঘটনার পর থেকে মোস্তাফিজুর রহমান ও তার লোকজন দিয়ে নানাভাবে ছাত্রীর পরিবারকে ঘটনা প্রকাশ না করতে ভয়ভীতিসহ হুমকি প্রদান করছে। এছাড়া স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টাও করছে।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মেহেদী হাসান বলেন, অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলছে। তাছাড়া অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমানকে আটক করতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদল সংশ্লিষ্ট স্কুলের ছাত্রীসহ এলাকার নারীদের প্রয়ই উত্যক্তসহ কুপ্রস্তাব দেয়। এর আগেও তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগও ওঠে। তবে প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ লিখিত অভিযোগ করতে সাহস পায়নি।