
ঢাকায় আনার পর প্রতারক সাহেদকে এখন নেওয়া হয়েছে র্যাব সদর দপ্তরে। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গেছে।
এ নিয়ে আজ বুধবার (১৫ জুলাই) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরবে র্যাব।
আজ বুধবার (১৫ জুলাই) সকাল ৯টায় তাকে বহনকারী হেলিকপ্টার অবতরণ করে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পুরনো বিমানবন্দরে। অবতরণের পর সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক তোফায়েল বলেন, আজ বুধবার (১৫ জুলাই) ভোর ৫টা ১০ মিনিটে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীর তীর সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।করোনা রোগীদের চিকিৎসার নামে প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগে গত সোমবার (৬ জুলাই) রাতে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে র্যাব। এতে করোনার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণ মেলে। অন্তত ছয় হাজার ভুয়া করোনা পরীক্ষার সনদ পাওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায় অভিযানে।
পরদিন মঙ্গলবার রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. শাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. শাহেদ (৪৩), ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভেজ (৪০), অ্যাডমিন আহসান হাবীব (৪৫), এক্সরে টেকনিশিয়ান হাসান (৪৯), মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট হাকিম আলী (২৫), রিসিপশনিস্ট কামরুল ইসলাম (৩৫), রিজেন্ট গ্রুপের প্রজেক্ট অ্যাডমিন রাকিবুল ইসলাম (৩৯), রিজেন্ট গ্রুপের এইচআর অ্যাডমিন অমিত অনিক (৩৩), গাড়িচালক আব্দুস সালাম (২৫), এক্সিকিউটিভ অফিসার আব্দুর রশীদ খান জুয়েল (২৮), হাসপাতাল কর্মচারী তরিকুল ইসলাম (৩৩), স্টাফ আব্দুর রশিদ খান (২৯), স্টাফ শিমুল পারভেজ (২৫), কর্মচারী দীপায়ন বসু (৩২) এবং মাহবুব (৩৮)। অপর দু’জনের নাম জানা যায়নি।
১৭ জন আসামির মধ্যে এমডি মাসুদ পারভেজসহ আট জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে রিজেন্ট চেয়ারম্যান শাহেদসহ ৯ জন পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে র্যাব।