1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০২:০৪ পূর্বাহ্ন
৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
গাইবান্ধায় নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসকের সঙ্গে জেলা ছাত্রশিবিরের সৌজন্য সাক্ষাৎ সাদুল্লাপুরে ৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ দুই নারী মাদক কারবারী গ্রেফতার বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার আয়োজনে গাইবান্ধায় মানব পাচার শীর্ষক আলোচনা সভা ত‌ারাগ‌ঞ্জের জয়বাংলা বাজারে গণশৌচাগারে তালা: স্বাস্থ্যঝুঁকিতে সাধারণ মানুষ পলাশবাড়ীতে খেলার জগৎ মডেল বাস্তবায়নে অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বোদা উপজেলা সাংস্কৃতিক পরিষদ ক্ষুদে শিল্পীদের মননে সংস্কৃতির আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে পলাশবাড়ী উয়ন্নন ফোরামের নবগঠিত ৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ভবন সংকটে থমকে গেছে “দুবলাগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের” পাঠদান কার্যক্রম । পীরগঞ্জের ২ নং কোষারাণীগঞ্জে অবৈধ বালু উত্তোলনের চলমান দৌরাত্ম তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন আজ

ইউনূসকে বাঁচাতে হাসিনাকে হিলারির চাপ, তদন্তে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট কমিটি

  • আপডেট হয়েছে : রবিবার, ৪ জুন, ২০১৭
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে

 

গ্রামীন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে তদন্ত আটকাতে হিলারি ক্লিনটন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে প্রভাব খাটিয়েছিলেন কি না, তার তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ সংক্রান্ত সিনেট কমিটি।

এই বিষয়ে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর চেয়ে সিনেট কমিটির চেয়ারম্যান চাক গ্রাসলি চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনকে।

এছাড়াও, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র মিশনের সাবেক উপ-প্রধান জন ডানিলোভিচকে জিজ্ঞাসাবাদও করতে চেয়েছে সিনেট কমিটি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় অভিযোগ করে আসছিলেন, তার মাকে চাপে রাখতে এবং ইউনূসের বিরুদ্ধে তদন্ত আটকাতে হিলারির কর্মকর্তারা তাকেও হুমকি দিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলছেন, গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে ইউনূসকে সরানোর পর নিয়মিত ‘থ্রেট’ করত যুক্তরাষ্ট্র।

সিনেট কমিটির চেয়ারম্যান গ্রাসলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিলারসনকে পাঠানো চিঠির সঙ্গে জয়ের বিরুদ্ধে সম্পদের হিসাব চাওয়ার হুমকি দেয়া বিষয়ক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনও যুক্ত করে দিয়েছেন।

গত ১ জুন পাঠানো চিঠিটি নিজের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করেছেন সিনেটর গ্রাসলি। তাতে ইউনূসের জন্য ‘বিশেষ খাতিরের’ অভিযোগের কথা বলা হয়েছে।

চিঠিতে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির বাইরে গিয়ে শুধু ব্যক্তিগত ও ক্লিনটন ফাউন্ডেশন থেকে উৎসারিত আর্থিক সম্পর্কের কারণে একটি সার্বভৌম সরকারের স্বাধীন তদন্তে হস্তক্ষেপে পররাষ্ট্রমন্ত্রী (হিলারি) যদি তার ক্ষমতা ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে সেটা অগ্রহণযোগ্য।

চিঠিতে তিনি লিখেছেন, এই তদন্ত আটকাতে প্রধানমন্ত্রীর ছেলের (জয়) বিরুদ্ধে সম্পদের হিসাব নেয়ার হুমকি দেওয়ার ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র দপ্তরের কোনো ভূমিকা ছিল কি না, তা নির্ধারণ করা জরুরি।

ই-মেইল উদ্ধৃত করে গ্রাসলি লিখেছেন, হিলারি ক্লিনটনসহ পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তারা ও ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা ইউনূসকে তার ব্যাংক থেকে সরানোর ঘটনাপ্রবাহ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। সেইসঙ্গে ‘ইউনূসের বিষয়ে তদন্তের উদ্যোগ বন্ধ করতে চাপ প্রয়োগের জন্য’ যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন।

বাংলাদেশি ওই তদন্তের বিষয়ে রাজস্ব বিভাগের নিরীক্ষার কথা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পররাষ্ট্র দপ্তরের কোনো কর্মকর্তা বলেছিলেন কি না এবং বিষয়টি পররাষ্ট্র দপ্তরের মহাপরিদর্শক বা বিচার বিভাগের পর্যালোচনার জন্য পাঠানো হয়েছিল কি না, তা পররাষ্ট্র দপ্তরের কাছে জানতে চেয়েছেন সিনেটর গ্রাসলি; চিঠিতে সংযুক্ত পররাষ্ট্র দপ্তরের সব ই-মেইলের অবিকৃত কপিও চেয়েছেন।

সেইসঙ্গে ইউনূসের ঘটনায় হস্তক্ষেপ করতে ব্যর্থ হলে সজীব ওয়াজেদকে নিয়ে রাজস্ব বিভাগের তদন্তের কথা বলার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জন ডানিলোভিচকে কমিটির মুখোমুখি করার বিষয়ে পররাষ্ট্র দপ্তরকে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন তিনি।

চিঠিতে বলা হয়েছে, জয়ের বক্তব্য অনুযায়ী ২০১০-১২ সময়ে পররাষ্ট্র দপ্তরের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার বেশ কয়েকবার কথা হয়েছিল। প্রায় প্রতিটি বৈঠকেই ইউনূস তদন্তের বিষয়টি সামনে এনে তা বন্ধ করতে তার উপর চাপ দেয়া হত বলে তিনি বলছেন।

ওই কর্মকর্তাদের মধ্যে ঢাকায় সাবেক রাষ্ট্রদূত জেমস মরিয়ার্টি ও ড্যান মজীনা, সাবেক মিশন উপ-প্রধান জন ডানিলোভিচ ও ইউএসএআইডির প্রশাসক রাজিব শাহের নাম রয়েছে।

জয়কে উদ্ধৃত করে চিঠিতে বলা হয়, ইউনূসের বিষয়ে বারবার উদ্বেগ জানিয়ে বার্তা পাঠানোর সময় পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তারা প্রায়েই দুঃখ প্রকাশ করতেন। তারা যে শুধু শীর্ষ পর্যায়ের কর্তাদের বার্তাবাহক হিসেবে কাজ করতেন তা স্পষ্ট করতেন।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউনূসের কোম্পানি ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভকে এক লাখ থেকে আড়াই লাখ ডলার ও ক্লিনটন ফাউন্ডেশনকে ২৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার ডলার দিয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর ক্লিনটন-ইউনূস সম্পর্ক আরো গভীর হয়।সূত্র-আরটিএনএন

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft