
দেশে মহামারি নভেল করোনা ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৩ হাজার ৪৮৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এইসময়ে মধ্যে সারা দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে আরও ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগের দিন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ২৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছিল ৫৫ জনের। ফলে আজ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু কিছুটা কমলেও আক্রান্ত বেড়েছে।
এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ৭২ হাজার ১৩৪ জন হয়েছে এবং মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ১৯৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় মোট পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক ২৬ শতাংশ ও এই সময়ের মধ্যে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৮ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৮ জন এবং নারী ৮ জন। এ পর্যন্ত যারা কোভিড আক্রান্ত মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ১ হাজার ৭৪১ জন এবং নারী ৪৫৬। মোট মৃত্যুর শতাংশ হিসেবে ৭৯ দশমিক ২৪ পুরুষ এবং ২০ দশমিক ৭৬ শতাংশ নারী।
আজ বুধবার (০৮ জুলাই) করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) এর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নিয়মিত বুলেটিনে সংযুক্ত হয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৫ হাজার ৮৮৩টি। পরীক্ষা হয়েছে ১৫ হাজার ৬৭২টি। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৮ লাখ ৮৯ হাজার ১৫২টি নমুনা।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৭৩৬ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৮০ হাজার ৮৩৮ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৬ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ৩ এবং ৯১ থেকে ১০০ বছর বয়সী ১ জন রয়েছেন।
বয়স বিভাজনে শতকরা মৃত্যুর হার শূণ্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে দশমিক ৫৯ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ দশমিক ১৪ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বছরে ৩ দশমিক ৩২ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছরে ৭ দশমিক ১৫ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছরে ১৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বছরে ২৯ দশমিক ০৯ শতাংশ এবং ষাটোর্ধ্ব ৪৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, যে ৪৬ জন গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩ জন, খুলনা বিভাগে ৯ জন, বরিশাল বিভাগে ৩ জন, সিলেট বিভাগে ৪ জন, রংপুর বিভাগে ১ জন রয়েছেন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৮ জন, বাড়িতে ৮ জন।
এ পর্যন্ত বিভাগভিত্তিক মৃত্যুর শতকরা হার- ঢাকা বিভাগে ৫০ দশমিক ৮০ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে ৫ দশমিক ০১ শতাংশ, খুলনা বিভাগে ৪ দশমিক ৮২ শতাংশ, বরিশাল বিভাগে ৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ, সিলেট বিভাগে ৪ দশমিক ৩২ শতাংশ, রংপুর ৩ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৭৯২ জন, ছাড় পেয়েছেন ৮০৯ জন। এ পর্যন্ত মোট আইসোলেশনে গেছেন ৩৩ হাজার ১৪৩ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে মুক্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ২৮৭ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৬ হাজার ৮৫৬ জন।
ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৬৯১ জন। এ পর্যন্ত মোট ৩ লাখ ৮৪ হাজার ২৯৯ জন। ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন ৩ হাজার ১৩৪ জন। এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৩ লাখ ২১ হাজার ৩০১ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৬২ হাজার ৯৯৮ জন।