গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পথরোধে শারিরীক নির্যাতন করে মোটরসাইকেল ও টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানায় অভিযোগ। গোবিন্দগঞ্জ-মহিমাগঞ্জ সড়ক অবরোধে মোটরসাইকেল উদ্ধার হলেও উদ্ধার হয়নি ছিনতাইকৃত ৪ লক্ষ টাকা। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আরজি সাহাপুর তারাগণা গ্রামে গত ২ জুলাই বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে আব্দুর রাজ্জাক জনি তার ভাটার হিসাবপত্র করে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা নিয়ে বাড়ির পথে রওনা দেয়। এসময় ইট ভাটার অদূরে তারাগণা চারমাথা সংলগ্ন আসামীদের বাড়ির সামনে পৌঁছিলে পূর্ব হতে ওঁৎপেতে থাকা সানোয়ার হোসেন, তার পিতা শুকুর আলীসহ অজ্ঞাত কয়েকজন পথরোধ করে। আচমকা তারা মারপিট করে মোটরসাইকেল ভাংচুর ও প্যান্টের পকেটে রক্ষিত চার লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় তারা মোটরসাইকেলটিকেও নিয়ে যায়। ছিনতাইয়ের ঘটনায় মারপিটে জীবনের ভয়ে ওমর ফারুক পালিয়ে যায়। একাকি আব্দুর রাজ্জাক জনিও ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে টাকার আশা না করে জীবন বাঁচাতে পালিয়ে নিরাপদ স্থানে চলে যায়। এ ঘটনায় ঐরাতেই আব্দুর রাজ্জাক জনি বাদি হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি এজাহার দায়ের করে। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। ৩ জুলাই শুক্রবার স্থানীয় লোকজন মহিমাগঞ্জ রোড অবরোধ করে রাখে। সকাল ১০টার দিকে অবরোধ শুরু হয়ে সাড়ে দশটার সময় গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ, মহিমাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এসময় আটককৃত মোটরসাইকেলটি সানোয়ারের বাড়ি হতে উদ্ধার করে আব্দুর রাজ্জাক জনির নিকট হস্তান্তর করা হয়। পরিবেশ শান্ত রেখে পরবর্তীতে বৈঠকের মাধ্যমে ঘটনার সমাধান করা হবে বলে উপজেলা চেয়ারম্যান তাদেরকে আশ্বস্ত করে। এজাহার তদন্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই সজিব ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং ঘটনা তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানান।
স্থানীয় ইউপিসদস্য আলাউদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এটা কলকাতা শহর। এখানে কেউ কাউকে মান্য করে না। আমি ঘটনা লোকমুখে শুনেছি, তবে কোন পক্ষই এখনও আমাকে জানায়নি। শুধু এসআই কথা বলেছে।
উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই পঁচারিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন অবৈধ বালু ব্যবসায়ীর বালু মহাল থেকে বালু বোঝাই একটি এমপি থ্রি আইয়ুপুর নামক স্থানে দূর্ঘটনায় একটি বাছুরকে মেরে ফেলে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন এমপিথ্রির চাবি ও গাড়ি আটক করে। পরবর্তীতে ড্রাইভার সানোয়ার জোরপূর্বক গাড়ির চাবি নিতে গেলে উত্তেজিত জনতা এমপিথ্রি ড্রাইভার সানোয়ারকে মারপিট করে। বাছুর মালিক এ.বি ইটভাটার ম্যানেজার তাহের। ইটভাটাটি ড্রাইভার সানোয়ারের বাড়ি সংলগ্ন হওয়ায় এবং তার এমপিথ্রি আটকানোতে ভাটা মালিকদের হাত আছে সন্দেহে প্রতিশোধ নিতে ২ জুলাই পরিকল্পিতভাবে ভাটা মালিক এবং তার ভাইকে মারপিট ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটায় বলে সরেজমিন জানা গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুর্ঘটনাস্থানে আটক রয়েছে এমপিথ্রি।