
টাকার বিনিময়ে করোনাভাইরাস পজিটিভ বা নেগেটিভ ভুয়া সনদ সরবরাহকারী চক্রের চার সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-৩) সদস্যরা।
সোমবার (১৫ জুন) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর মুগদা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- ফজল হক (৪০), মো. শরিফ হোসেন (৩২), মো. জামশেদ (৩০) ও মো. লিয়াকত আলী (৪৩)।
তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ করোনাভাইরাসের ভুয়া সনদপত্র, দুটি কম্পিউটার, দুটি প্রিন্টার এবং দুটি স্ক্যানার উদ্ধার করা হয়।
ভুয়া নেগেটিভ সনদ কিনে ক্রেতারা তা কর্মক্ষেত্রে যোগদানসহ বিভিন্নস্থানে ভ্রমণ করতে ব্যবহার করছিল। আবার ভুয়া পজিটিভ সনদ কর্মক্ষেত্রে ছুটি বা বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা আদায়ে ব্যবহার হচ্ছিলো বলে জানান অভিযানে থাকা কর্মকর্তারা।
র্যাব-৩ সূত্রে জানা গেছে, সীমিত পরিসরে সবকিছু খুলে দেওয়া হলে উপসর্গহীন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিরা এই প্রতারক চক্রের আশ্রয় নেয়। প্রকৃতপক্ষে করোনা পজিটিভ হওয়া স্বত্ত্বেও ভুয়া নেগেটিভ সনদপত্র গ্রহণ করে তারা কর্মক্ষেত্রে যোগদানসহ বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করছিলো। আবার অনেকেই সরকারি ছুটি ও বিভিন্ন প্রকার সুযোগ-সুবিধা গ্রহণের জন্য ভুয়া পজিটিভ সনদ নিচ্ছেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে করোনার ভুয়া সনদপত্রের রমরমা ব্যবসার তথ্য জানতে পেরে অভিযান চালিয়ে চার জনকে আটক করা হয়।
চক্রটি মাত্র ৫-৭ হাজার টাকার বিনিময়ে গ্রাহকের চাহিদা মতো সনদ সরবরাহ করতো। এক্ষেত্রে তারা করোনা পরীক্ষার জন্য মুগদা হাসপাতালে আসা রোগীদের টার্গেট করে তৎপরতা চালাচ্ছিলো।
র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল রকিবুল হাসান জানান, বিভিন্ন সময়ে যারা মুগদা হাসপাতালে স্যাম্পল দিতে এসেছেন তাদেরকে প্ররোচিত করে ভুয়া সার্টিফিকেট সরবরাহ করতো চক্রটি। এখন পর্যন্ত চক্রটি ১৫০-২০০টি ভুয়া সনদ বিক্রি করেছে বলে জানা গেছে। এসব সনদপত্রে বিভিন্ন হাসপতালের নাম ব্যবহার করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনও হাসপাতালের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।