
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের তরফআল গ্রামে গত সোমবার (১৮ মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে একে একে ১৪টি খড়ে গাদায় আগুন লাগিয়ে দিয়েছে দূর্বত্তরা। আগুনে এই ১৪টি খড়ের গাদা মুহুর্তেই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তারমধ্যে একটি খড়ের গাদার আগুন থেকে পুড়ে যায় ৪টি পরিবারের বসতবাড়ী। এদিকে একই দিন রাত ১১টার দিকে সাদুল্লাপুর উপজেলা সদরের পশ্চিমপাড়ায় একটি পরিবারের বসতবাড়ী আগুনে পুড়ে যায়।
আগুনে বসতবাড়ী পুড়ে যাওয়া নিঃস্ব পরিবারগুলো হল, উপজেলার ভাতগ্রামের তরফআল গ্রামের মোছা. অমিছা বেওয়া, ফারুক মিয়া, আশাদুল হক জলে মিয়া ও মাজেম মিয়ার পরিবার এবং উপজেলা সদরের পশ্চিমপাড়ার দিনমজুর ছাইদার মিয়ার পরিবার।
ভাতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম রেজাওনুল ইসলাম বাবু জানান, সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ওই গ্রামের ১৪টি খড়ের গাদায় কে বা কারা আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে ওই ১৪টি খড়ের গাদা পুড়ে যায়। এছাড়া আশাদুল হক জলে মিয়ার খড়ের গাদার আগুন মুহুর্তে ছড়িয়ে পরে ৪টি পরিবারের বসতবাড়ীর ৭টি ঘর, আসবাবপত্র, ধান-চাল ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ নগদ লক্ষাধিক টাকা আগুনে পুড়ে যায়। বিষয়টি টের পেয়ে গ্রামবাসী সমবেতভাবে দেড়ঘন্টা চেষ্টা করে রাত ৩ টার দিকে এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তিনি আরও জানান, এতে ওই চার পরিবারের প্রায় ৮/১০ লাখ টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।
গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের সহকারী-পরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, উপজেলা সদরের পশ্চিমপাড়ার মার্কাস মসজিদের পাশে দিনমজুর ছাইদার মিয়ার বাড়িতে রাত ১১টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়। মুহুর্তে সেই আগুন ছড়িয়ে পরে তার তিন ঘর, আসবাবপত্র ও ১ ছাগলসহ সবকিছু পুড়ে যায়। পরে খবর পেয়ে গাইবান্ধা থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট আসার আগেই এলাকাবাসী আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। এতে তার দুই লক্ষাধিক টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।
সাদুল্লাপুর থানার ওসি মো. মাসুদ রানা জানান, ভাতগ্রামের অগ্নিকান্ডের বিষয়টি শুনেছি। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান কিংবা ক্ষতিগ্রস্থ কেউ জানাননি।