ভুয়ো’ চিকিত্সক পৌঁছে গিয়েছেন খোদ রাষ্ট্রপতির পুরস্কার
বিতরণী মঞ্চে!
শুধু তা-ই নয়, জাল সার্টিফিকেটের দৌলতে উদ্যোক্তারা তাঁকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করায় রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের হাত থেকে পুরস্কার নিয়েছেন হাওড়ার বাসিন্দা তথা নিজেকে চিকিত্সক পরিচয় দেওয়া শুভেন্দু ভট্টাচার্য। উদ্যোক্তা ‘অ্যালেন গ্রুপে’র কর্ণধার তথা চিকিত্সক জি পি সরকার মঙ্গলবার বলেন, ‘‘আমরা বিষয়টি রাষ্ট্রপতি ভবনকে চিঠি দিয়ে জানাচ্ছি। আইনি পদক্ষেপও করছি।’’
এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি ভবনের এক মুখপাত্র জানান, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানই ঠিক করে, মঞ্চে কারা কারা উঠে পুরস্কার নেবেন। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনের কোনও ভূমিকা নেই। ফলে এর দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের।
ফেসবুক প্রোফাইল থেকে শুরু করে সর্বত্র নিজেকে চিকিত্সক হিসাবে দাবি করেন শুভেন্দু। সেখানে লেখা রয়েছে, তিনি লন্ডনের ‘রয়্যাল কলেজ অফ ফিজিসিয়ানস’ থেকে মাত্র ২৪ বছর বয়সে ‘এমআরসিপি’। এত কম বয়সে এই ডিগ্রি পাওয়ায় ‘গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডে’ তাঁর নাম উঠেছে! তার ‘সার্টিফিকেট’ও তিনি দেখান সকলকে। নিজেকে নোবেল ফাউন্ডেশনের মেডিসিন এবং ফিজিওলজি সাব-কমিটির সদস্য হিসাবেও পরিচয় দেন। ১৯ মে ওই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরস্কার নেওয়ার পর সেই ছবি নিজের প্রচারে ব্যবহার শুরু করেন শুভেন্দু। অথচ অভিযোগ, বিদেশ যাওয়া তো দূর অস্ত, ডাক্তারিই পড়েননি এই শুভেন্দু। এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার সকালে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে হদিস মেলেনি শুভেন্দুর। ফোন ‘নট রিচেবল’।
অ্যালেন গোষ্ঠীর তরফে জানানো হয়েছে, ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ভারত এবং বাংলাদেশের ১০২টি সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজের প্রথম স্থানাধিকারীদের। মোট ১২ জন কৃতী রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরস্কার নেন। সংস্থার ‘লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট’ পুরস্কার দেওয়া হয় শুভেন্দুকে।
শুভেন্দুকে বাছাই করার দায়িত্বে থাকা অ্যালেন গোষ্ঠীর চিকিত্সক সুব্রত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘হাওড়ার মহেশ ভট্টাচার্য হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজের মঞ্চে ওঁর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। সরকারি অনুষ্ঠানে তাঁর এমআরসিপি, গিনেস বুক প্রসঙ্গ থাকায় সন্দেহ করিনি। আমাদের কাছে সমস্ত শংসাপত্র পাঠিয়েছিল। এখন বুঝেছি, সেগুলি ঠিক নয়। আইনি পরামর্শ নিচ্ছি।’’সূত্র- এবেলা