
করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন নিম্নবিত্ত, মধ্যবিস্তসহ সব স্তরের মানুষ। দিনের পর দিন, সপ্তাহের পর সপ্তাহ কর্মহীন থাকায় সঞ্চয় ফুরিয়ে আসছে মধ্যবিত্তের।
পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে খোদ সরকারি হিসাব বলছে, এই অবস্থা চললে দুই মাসের মধ্যে অনেক মধ্যবিত্ত যোগ হবে দরিদ্রের তালিকায়। অসহায় মধ্যবিত্তকে এই পর্যায়ে সহযোগিতা করছেন অনেকে।
আমাদের মাঝে এমন অনেক পরিবার আছে, যারা না খেয়ে মরবে কিন্তু অন্যের কাছে হাত পেতে কিছু নিবে না। যারা মুখে হয়তো বলতে পারছেন না ঘরে খাবার নেই।
সেসব পরিবারের কাছে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেয় মাস্তুল ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠন। তাদের হটলাইনের একটি ফোনের কথোপকথনে স্পষ্ট, কেমন আছেন, এসব পরিবারের সদস্যরা।
প্রতিদিন এমন কয়েকশ ফোন আসে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির নম্বরে। পরিচয় গোপন রেখে ঢাকার নানা প্রান্তে বাসার দরজায় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেন তারা। এখন পর্যন্ত সহায়তা দিয়েছেন ৩ হাজারের বেশি পরিবারকে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে দেশে করোনা আসার পর প্রতি সপ্তাহে ক্রয় ক্ষমতা হরাচ্ছেন ১ শতাংশ মানুষ। আর ২০ শতাংশ মানুষ এখন রয়েছে দারিদ্রসীমার নিচে। বলা হচ্ছে এ অবস্থা চললে, আগামী মে-জুন নাগাদ এই হার পৌঁছবে ৩০ শতাংশে যার মধ্যে থাকবে এখনকার অনেক মধ্যবিত্ত।
কালের এমন দুর্যোগে নানা শ্রেণি পেশার অনেকেই দাঁড়াচ্ছেন মানুষের পাশে। এই যেমন রাজধানীর পুরান ঢাকার কলতাবাজার পঞ্চায়েত সমিতি। সংকটের এই সময়ে নিজেরাই প্রায় ১২’শ পরিবারের এক মাসের খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। হত-দরিদ্র, দুস্থ কিংবা মধ্যবিত্ত যাদের এখন বন্ধ আয় রোজগার, তাদের তালিকা করে বাসায় পৌঁছে দিচ্ছেন খাদ্য সামগ্রী। ২০০০ সাল থেকে চলছে প্রতি রোজায় কলতাবাজার পঞ্চায়েতের এই কার্যক্রম। সময়ের সাথে বেড়েছে এর পরিধিও।