
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে মহিউদ্দিনের সঙ্গে স্থানীয় এক তরুণীর প্রেমের বিচ্ছেদের চেষ্টা করায় কবিরাজ সায়েব মোহাম্মদ সাগরকে খুন করেছে প্রেমিক মহিউদ্দিন। এ ঘটনায় প্রেমিককে সহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গ্রেফতাররা হলেন- ঈসা নগরের মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও মোহাম্মদ রাব্বী, জলিল আহমদের ছেলে মোহাম্মদ কাইয়ুম, চরলক্ষ্যার আবদুস সালামের ছেলে মোহাম্মদ ইরফান, মোহাম্মদ ইয়াসিনের ছেলে নাঈমুল হক সাকিব, কেন্দ্রাতলীর আবদুল বাতেনের ছেলে আবদুল করিম রিফাত। বৃহস্পতিবার রাতে কর্ণফুলীর শিকলবাহা ও ঈসা নগর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মাহামুদুল হাসান মামুন জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কর্নফুলীর শিকলবাহা ও ঈসা নগরে অভিযান চালিয়ে কবিরাজ সাগর হত্যাকাণ্ডের হোতা মোহাম্মদ মহিউদ্দিনসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের দেয়া তথ্যে চরলক্ষ্যার একটি গোয়াল ঘর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত তিনটি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার ছয়জনকে কর্ণফুলী থানায় হস্তান্তর করা হচ্ছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা জানিয়েছেন, মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের সঙ্গে স্থানীয় এক তরুণীর প্রেম ছিল। তাদের বিচ্ছেদের জন্য কয়েকবার সাগর কবিরাজের কাছে যান ওই তরুণীর মা। এরইমধ্যে ওই তরুণীকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন মহিউদ্দিন। বিয়ের পর স্ত্রীর মুখে এসব কথা শুনে সাগর কবিরাজকে শিক্ষা দিতে চান মহিউদ্দিন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় চাচির পেট ব্যথার অজুহাতে সাগর কবিরাজকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান মহিউদ্দিন। এরপর তাকে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ফেলে যান মহিউদ্দিন ও তার সহযোগীরা। পরে হাসপাতালে নিলে ওই কবিরাজের মৃত্যু হয়।