
রাজধানী ঢাকা থেকে গাইবান্ধায় আগত সব লোকজনকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসন। শুক্রবার (২৭ মার্চ) সকালে জেলা প্রশাসনের দাপ্তরিক ফেসবুক পেজে এক বিজ্ঞপ্তিতে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার এ আহ্বান জানান।
হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার জন্য জনপ্রতিনিধি ও করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটি সংশ্লিষ্ট সকলকে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এরআগে বিশ্বজুড়ে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস বিস্তার রোধ এবং করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে সামাজিক দূরুত্ব বাজায় রাখতে গতকাল বৃহস্পতিবার ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এরপর থেকেই বাস টার্মিনাল-নদী বন্দর, এমনকি জেলা শহরের ভেতরে সবধরনের গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। ওষুধ এবং মুদী দোকান ছাড়া বন্ধ সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও। করোনা এড়াতে মানুষকে নিজ নিজ ঘরে রাখতে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী। বিভিন্ন স্থানে চেক পোস্ট স্থাপন করে জনসমাগম রোধে কাজ করছে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গাইবান্ধা জেলা শহরসহ সর্বত্র জোরদার টহল শুরু করে সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। তাদের কঠোর অবস্থানের কারণে গাইবান্ধার রাস্তাঘাট অনেকটাই জনমানবশূন্য হয়ে পড়ে। অতি প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। রাস্তায় হাতেগোনা কিছু রিকশাএবং ব্যক্তিগত যান ও মোটরসাইকেল ছাড়া কিছুই চলছে না। ওষুধ এবং মুদী দোকান ছাড়া বন্ধ রয়েছে দোকানপাট, হোটেল রেস্তোরা এমনকি চায়ের দোকানও। অনেকটা ভূতুরে পরিবেশ চারিদিকে। করোনার হাত থেকে নিজেকে এবং অপরকে নিরাপদ রাখতে সরকারি নির্দেশ মেনে সবাইকে নিজ নিজ ঘরে অবস্থানের জন্য অনুরোধ করেন জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন।
এদিকে জেলার হতদরিদ্ররা জানিয়েছেন, তাঁরা কষ্টে দিন যাপন করছেন। গত দুদিন কাজ না পেয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন। চা-দোকানি, রিকশা চলাকসহ দিনমজুররা জানিয়েছেন- ‘এভাবে হাত-পা ধুয়ে বসে থাকলে, আমরা কী খাব। সরকার যদি না দেখে আমারা কিভাবে পরিবার-পরিজন নিয়ে বাঁচবো। আমাদের কথা এখন কে ভাববে।