যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কুইন্সে বসবাসকারী এক বাংলাদেশি পরিবারের চারজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তরা দেশটির এলমাহস্ট হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এখন পর্যন্ত দেশটিতে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৯ বাংলাদেশিসহ চার হাজার ছাড়িয়েছে।
জানা গেছে, নতুন আক্রান্ত ওই পরিবারের ৪৮ বছর বয়সী এক পুরুষের শরীরে (হলুদ ক্যাবচালক) প্রথমে এ ভাইরাস শনাক্ত করা হয়। পরে ৩৭ বছরের স্ত্রীও আক্রান্ত হন। তাদের ১৩ ও ১৫ বছরের দুই ছেলেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। পরিবারে প্রথম আক্রান্ত ব্যক্তি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ইউএস-এর সাধারণ সম্পাদক আসলাম আহমাদ খান বলেন, আমরা তার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে সরবরাহ করার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, আমাদের সামাজিক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কারো বিপদে পাশে দাঁড়নো। কিন্তু করোনাভাইরাস আমাদেরকে বিপরীত স্রোতে নিয়ে যাচ্ছে। এরপরেও আমরা পরস্পরের পাশে থাকতে হবে। সামাজিক যোগাযোগের নতুন মাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা পরস্পরের খোঁজখবর নেব, কাছে থাকব, আমাদের করণীয় সম্পর্কে মতবিনিময় করব।
তিনি বলেন, যারা ট্যাক্সি কিংবা উবার চালান তারা মালিক পক্ষের লোভনীয় অফার প্রত্যাখ্যান করে কিছুদিন বাসায় থাকুন। যাদের কাজে যেতেই হয় তারা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করুন। এরপরেও আমাদেরকে পরস্পরের পাশে থাকতে হবে।
বিশ্বে এখন সবচেয়ে বেশি আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত ১৭৯টি দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। সারাবিশ্বে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬১৩ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ১০ হাজার ৪৮ জন। এছাড়া চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৮৮ হাজার ৪৩৭ জন।
করোনা আতঙ্কে অনেক দেশই অবরুদ্ধ (লক ডাউন) হয়ে পড়েছে। দোকান-পাট, ব্যবসায় বাণিজ্য, স্কুল, কলেজ সব বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত চীনে ৮০ হাজার ৯৬৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। অপরদিকে মারা গেছে ৩ হাজার ২৪৮ জন।অপরদিকে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় এখন সবার ওপরে আছে ইতালি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে আরও ৪২৭ জনের প্রাণহানির সঙ্গে সঙ্গে তারা ছাড়িয়ে গেছে করোনার উৎস চীনকেও। এ নিয়ে ইউরোপের দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪০৫ জনে।