চীনের উহান প্রদেশ থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর কারণে মালয়েশিয়ায় ৬ লাখ বাংলাদেশি গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। এছাড়া একই কারণে ইতালিতে প্রায় দুই লাখ বাংলাদেশির ভাগ্য অনিশ্চিতায় পড়েছে।
মঙ্গলবার পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় দুই জনের মৃত্যুসহ আক্রান্ত হয়েছেন ৭৯০ জন। এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি আক্রান্ত না হলেও তারা চরম আতঙ্কে রয়েছেন।
জানা যায়, কোভিড নাইন্টিন প্রতিরোধে ১৮ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করায় মালয়েশিয়ার পথঘাট এখন জনশূন্য। ফলে বাধ্য হয়েই ঘরে বন্দী কর্মহীন জীবনযাপন করতে হচ্ছে প্রবাসী বাংলাদেশীদের। আর এতে চরম উৎকন্ঠা-হতাশা ও দুশ্চিন্তায় ভুগছে তারা।
মালয়েশিয়া প্রবাসীরা জানান, সরকারের কঠোর রাজনীতির কারণে আমরা ঘর থেকে বের হতে পারছিনা, গ্রেপ্তার আতঙ্কে রয়েছি। সেই সঙ্গে প্রবাসীরা এখন জবলেস। হাসপাতাল, ফার্মেসি ও সুপারশপ ছাড়া সবকিছুই সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।
সর্বসাধারণের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিনা কারণে ঘর হতে বের হওয়ায় ইতোমধ্যে বেশ কয়েক জনকে জরিমানাও করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ার মতো ইতালিতেও প্রায় ২ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি অনিশ্চিয়তায় দিন কাটাচ্ছেন। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ইতালিতে প্রায় দুই লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী রয়েছে যারা রাজধানী রোম, মিলান, ভেনিসসহ অন্যান্য শহরে বাস করে।
ইতালির শিল্পোন্নত শহর মিলানোতেই প্রথম হানা দেয় করোনা ভাইরাস। হাসপাতাল, ফার্মেসি ও সুপারসপ ছাড়া সবকিছুই বন্ধ রয়েছে গত চারদিন। কিন্তু এতোকিছুর পরও এখন পর্যন্ত করোনার হানা থামানো যায়নি।
প্রসঙ্গত, মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসে প্রায় সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। ডিসেম্বরের শেষদিকে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী এ ভাইরাসটি এখন ইউরোপ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
ইতালির পাশাপাশি স্পেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যেও প্রতিদিন আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী কভিড-১৯ এ মোট আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৭৫৮ জনে।
এর মধ্যে ইতালিতে মোট মৃতের সংখ্যা তিন হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। মালয়েশিয়ায় এখন পর্যন্ত ৫৬৬ জন লোক কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত এবং দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।