1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:০৭ অপরাহ্ন
৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
পীরগঞ্জে খোলা পেট্রোল বিক্রি হচ্ছে এসি ল্যান্ড অফিসের সামনে! উদ্দীপনায় পলাশবাড়ী মডেল প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন তারাগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের মৃত্যু গণঅভ্যুত্থান দমন মামলায় হাসিনা–কামালের মৃত্যুদণ্ড “পলাশবাড়ীতে জামায়াতের শোকরানা নামাজ আদায়” পলাশবাড়ীতে বীর মুক্তিযোদ্ধার ইন্তেকাল ইউএনও’র নেতৃত্বে রাষ্ট্র্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন পলাশবাড়ী পৌরশহরের আমবাড়ীতে পৌর যুবদলের নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত পলাশবাড়ীতে উপজেলার নাগরিক সংগঠনের ত্রৈমাসিক সভা হাসিনার ফাঁসির রা‌য়ে তারাগঞ্জে ছাত্রদলের আনন্দ মিছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১: শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড, মামুনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড তারাগঞ্জে নবীনবরণ, বিদায় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

প্রাণঘাতী মহামারীতে ইসলামের ৫ নির্দেশনা

  • আপডেট হয়েছে : বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ, ২০২০
  • ২৯ বার পড়া হয়েছে

বিশ্বের ১৬৬টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে নভেল করোনা ভাইরাস। প্রাণঘাতী এ রোগটির প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে বাংলাদেশেও। এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ধর্মানুরাগী মুসলিম।

এমন ক্রান্তিকালে ইসলামের নির্দেশনা কী- অনেকেই তা জানতে আগ্রহী। আর জনমানুষের এ আগ্রহের সুযোগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ভুলভাল তথ্য দিয়ে সৃষ্টি করা হচ্ছে বিভ্রান্তি। এ সবের অবসান প্রয়োজন, প্রয়োজন ইসলামের প্রকৃত নির্দেশনা তুলে ধরা।

করোনার মতো ভয়াবহ রোগ পৃথিবীতে নতুন নয়; ইসলামের সূচনালগ্নেও এ ধরনের মহামারী বিভিন্ন দেশে দেখা গেছে। মহানবী হজরত মুহাম্মাদ (স) এ সময় মুসলিমদের করণীয় কী তা-ও বলে দিয়েছেন। সাহাবিরা সেই নির্দেশনা পালন করেছেন এবং সুফল পেয়েছেন।

তা ছাড়া এ রোগের প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কার হয়নি সত্য, কিন্তু সর্বশক্তিমান আল্লাহর জন্য কোনো রোগ নিরাময় অসাধ্য নয়। রোগব্যাধি তিনিই দেন এবং তিনিই নিরাময় দান করেন। ‘যখন আমি অসুস্থ হই তখন তিনিই আমাকে নিরাময় দান করেন’ (কোরআন- ৭৮:৮০)। তিনি রোগব্যাধি দিয়ে আমাদের পরীক্ষা করেন। আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন- ‘আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব ভয়, ক্ষুধা, তোমাদের জান-মাল ও ফসলাদির ক্ষতিসাধনের মাধ্যমে; ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও!’ (কোরআন- ২:১৫৫)।

প্রশ্ন ওঠে যে, আল্লাহ এমন মহামারীর পরীক্ষায় আমাদের কেন ফেললেন? প্রথমত, এভাবে কারা ইমানের ওপর অবিচল থাকে, তা তিনি দেখতে চান, বিশ্বাসীদের মর্যাদা বৃদ্ধি করতে চান। দ্বিতীয়ত, এসব বিপর্যয়ের কারণ আদতে মানুষ নিজেই। মহান রব বলেন, ‘মানুষের কৃতকর্মের জন্য জলে-স্থলে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে তাদের কোনো কোনো কর্মের শাস্তি আস্বাদন করানো হয়, যেন তারা সৎপথে ফিরে আসে।’ (কোরআন ৩০:৪১)।

মহানবি (স) বলেছেন, ‘যখন প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে, তখন মহামারী দেখা দেয়; যখন ওজন ও পরিমাপে কারচুপি হয়, তখন দুর্ভিক্ষ নামে এবং যখন জাকাত আদায় করা না-হয়, তখন অনাবৃষ্টি হয়।’ (ইবনে মাজাহ- ৪০১৯)।

মহামারীর সময় ইসলামের নির্দেশনা হলো : এক. অহেতুক আতঙ্কিত না হয়ে ধৈর্য ধারণ করা। ইমানের ওপর অবিচল থাকা। দুই. আক্রান্ত অঞ্চলে যাতায়াত না করা। মহানবী (স) বলেছেন, কোনো অঞ্চলে প্লেগের (বা অন্য কোনো মহামারীর) সংবাদ শুনলে সেখানে প্রবেশ করো না। আর তা তোমাদের অবস্থানে ছড়ালে সেখান থেকে বেরিয়ে যেও না।’ (বোখারি- ৫২০৪)।

তিন. সংক্রমণের ভয় হলে জনসমাগম এড়িয়ে চলা। নবীজি (স.) এরশাদ করেছেন- ‘কুষ্ঠ রোগী থেকে দূরে থাকো, যেভাবে বাঘ থেকে দূরে থাকো।’ (বোখারি- ৫৭০৭)। অন্যদিকে ‘ইসলামে সংক্রমণ বলতে কিছু নেই’ বলে যে উক্তি রয়েছে, তার অর্থ- গ্রহ-নক্ষত্রের প্রভাবে সৃষ্ট সংক্রমণ ও স্বয়ংসক্ষম সংক্রমণ বলে কিছু নেই। অর্থাৎ গ্রহ-নক্ষত্র বা রোগের নিজস্ব ক্ষমতা নেই। ‘নবীজি সফরে বৃষ্টি বা শীতের রাতে মুয়াজ্জিনকে আজান দিতে বলতেন এবং সাথে সাথে এ কথাও ঘোষণা করতে বলতেন যে, ‘তোমরা আবাসস্থলেই নামাজ আদায় করে নাও!’ (বোখারি- ৫৭২৯)।

চার. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা। মহানবী স. বলেন, ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইমানের অর্ধেক’ (সহি মুসলিম- ২২৩)। ইউনিসেফ ও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, নিয়মিত হাত ধোয়া এবং সম্ভাব্য সংক্রমিত ব্যক্তির সাথে মেলামেশা না করা করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কমানোর সর্বোত্তম উপায়।

পাঁচ. রোগ থেকে বেঁচে থাকার জন্য দোয়া পড়া। বিশুদ্ধ হাদিসে এ সময় পাঠ্য একটি দোয়া রয়েছে। তা হলো- ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল বারাছি ওয়াল জুনুনি ওয়াল জুযামি ওয়ামিন সায়্যিল আসক্বাম।’ অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ, আমি শ্বেত রোগ, উন্মাদনা, কুষ্ঠরোগ এবং দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে আপনার আশ্রয় চাই।’ (আবু দাউদ- ১৫৪৯)।

সব শেষে, এ বিপর্যয় থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রতিষেধক আবিষ্কার থেকে শুরু করে মহামারী মোকাবিলায় সবাইকে সর্বাত্মক উদ্যোগী হতে হবে। আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন- ‘আমি কোনো জাতির অবস্থা পরিবর্তন করি না, যতক্ষণ না তারা নিজে নিজের অবস্থা পরিবর্তন করে।’ (কোরআন- ১৩ :১১)। দয়াময় রব সবাইকে এ মহামারী থেকে হেফাজত করুন। আমিন।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft