নাইজেরিয়ার বাণিজ্যিক রাজধানী লাগোসের শহরতলীতে গতকাল রোববার এক গ্যাস প্ল্যান্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। এছাড়া ধ্বংস হয়েছে ৫০য়ের বেশি আবাসিক ভবন।
দেশটির রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি নাইজেরিয়ান ন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (এনএনপিসি) বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স।
এনএনপিসি বলছে, গতকাল রোববার লাগোসের আদুলে আদো এলাকায় তাদের পাইপলাইনের পাশে অবিস্থিত এক গ্যাস প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্টে জড়ো করে রাখা হয়েছিল বেশ কিছু গ্যাস সিলিন্ডার। একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই গ্যাস সিলিন্ডারকে ধাক্কা দিলে সেখানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয় এবং আগুন ধরে যায়। বিস্ফোরণে গ্যাস স্থাপনা সংলগ্ন ৫০টির বেশি আবাসিক ভবন ভেঙে পড়েছে। এসময় ধোয়ায় ছেয়ে যায় গোটা এলাকা। দ্রুত আশপাশের স্থাপনাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে আগুনের লেলিহান শিখা।
এতে এনএনপিস ‘র পাইপলাইনটিও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ফলে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল কোম্পানিটি তাদের পাম্পিং অপারেশন বন্ধ রেখেছে।
বিস্ফোরণের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে দমকল বাহিনীর লোকজন। তবে তারা আসার আগেই এই ঘটনায় কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হন। আহত হন আরও বহু মানুষ। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে আহতদের কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা জানায়নি ওই কোম্পানি। এতে ধ্বংস হয়েছে আশপাশের ৫০টির বেশি আবাসিক ভবন।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ‘আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগে কেবল ধোয়া দেখা গেছে। এরপরই আমরা বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পাই। এসময় বেশ কিছু ভবনের ছাদ ভেঙে পড়ে।’
এনএনপিসি জানায়, এই বিস্ফোরণের পর ওই প্ল্যান্টের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। তবে এতে লাগোস ও এর আশপাশের শহরের গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটবে না।আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে অপরিশোধিত তেল উৎপাদনে শীর্ষে নাইজেরিয়া। সেখানে প্রায়ই পাইপলাইনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে থাকে। সাধারণত তেল চুরি ও নাশকতার কারণেই এসব বিস্ফোরণ হয়। সেখানে পাইপলাইন থেকে তেল চুরি করতে ব্যবহৃত পদ্ধতিগুলোর কারণেই প্রায়শই সেখানে এসব বিস্ফোরণ ও আগুন লাগার ঘটনা ঘটে থাকে।