
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কেজাউড়া গ্রামে শিশু তুহিন হত্যা মামলায় দুই জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এ মামলায় অভিযুক্ত অন্য দুই আসামির নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার সকালে জেলা ও দায়রা জজ ওয়াহিদুজ্জামান সিকদার এ রায়।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- শিশু তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির ও আপন চাচা নাসির উদ্দিন। মামলায় খালাসরা হলেন- আব্দুল মোছাব্বির ও জামশেদ আলী।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) শামছুন নাহার বেগম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১০ মার্চ) শিশু তুহিন হত্যা মামলায় তার চাচাতো ভাই কিশোর শাহরিয়ারকে ৮ বছরের আটকাদেশ দেন সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন। এ ৮ বছর তাকে কিশোর সংশোধনাগারে রাখা হবে।
উল্লেখ্য, প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর রাতে দিরাই উপজেলার কেজাউড়া গ্রামের আব্দুল বাছিরের ছেলে তুহিনকে তার বাবা-চাচা ও ভাইয়েরা মিলে নিমর্মভাবে হত্যা করে। পরে তুহিনের মরদেহ বাড়ির পাশে একটি গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়।তুহিনের বাবা ও চাচা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, ঘটনার দিন শিশু তুহিনকে ঘুমন্ত অবস্থায় তার বাবা আব্দুল বাছির ঘর থেকে বের করে বাইরে নিয়ে যান। এরপর ঘুমন্ত তুহিনকে গলা কেটে হত্যা করেন চাচা ও চাচাতো ভাই। পরে তুহিনের পেটে দুটি ছুরি বিদ্ধ করে গাছে ঝুলিয়ে দেন তারা। তুহিনকে হত্যায় বাবার সঙ্গে অংশ নেন চাচা নাছির উদ্দিন ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ার।