এটিএম আফছার আলী, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের। ২০০৯ সালে সেটি বাস্তবায়ন করেন-গণপুর্ত অধিদপ্তর। শুরু হয় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণের কাজ। ২০০৯ সালের শেষের দিকে ১ কোটি ১১ লাখ টাকা বরাদ্দের ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণের কাজ শুরু করেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠা মির্জা কন্সট্র্র্যাকশন। শাম্বুক গতিতে ২০১৪ সালে শেষ হয় ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের নির্মাণ কাজ। কিন্তু আজ পর্যন্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নব নির্মিত ভবনটি বুঝে নেননি। দীর্ঘ ৩ বছর ধরে ভবনটি ব্যবহার না করায় বর্তমানে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। ইতিমধ্যে ভবনটি পলেষ্টার ধ্বসে পড়ছে। ঠিকাদার শফিক মিয়া জানান- ২০১৪ সালে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। ভবনটি হস্তান্তরে জন্য বহুবার ফায়ার সার্ভিস ডিফেন্সের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান-জনবল নেই। যার কারণে ভবনটি বুঝে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কার্যক্রম না থাকায় প্রতিবছর আগুনে পুড়ছে কোটি টাকা সম্পদ। স্থানীয় ব্যবসায়ী কাজী সাখাওয়াত হোসেন জানান-সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কোথাও আগুন লাগলে ৪০ কিলোমিটার দুর গাইবান্ধা হতে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে গাড়ি আসার আগে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় অগ্নিকান্ডে সংঘটিত ঘরবাড়ি। গণপুর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব মোর্শেদ জানান-ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাজ সু-সম্পন্ন হয়েছে। নব নির্মিত ভবনটি হস্তান্তরের জন্য বহুবার সংশ্লিষ্ট উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর তাগাদা দেয়া হয়েছে। কিন্তু জনবল না থাকায় ফায়ার সার্ভিস ডিফেন্স আজও ভবনটি গ্রহণ করেনি। তিনি আরও বলেন সর্বশেষ গত এপ্রিল মাসে জেলা প্রশাসককে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। গাইবান্ধার ফায়ার সার্ভিস ও ডিফেন্স স্টেশনের উপ-পরিচালক আমিরুল ইসলাম জানান-উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের আদেশ না পাওয়ার কারণে স্টেশনটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। সুন্দরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের জন্য বরাদ্দকৃত পাম্প ও গাড়ি বর্তমানে গাইবান্ধা স্টেশনে রয়েছে। এছাড়া সুন্দরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের জনবল দিয়ে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ চাইলে যে কোন মহুত্বে ওই জনবল, গাড়ি ও পাম্প দিয়ে সুন্দরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চালু করা সম্ভব।