
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গে দেশবাসীর বিবেচনা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
জিএম কাদের বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদিকে বঙ্গবন্ধুর শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি আসতেও সম্মত হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে তাদের (ভারতের) অবদানের কথা চিন্তা করে সবাইকে বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ৩ দিনের সফরে লালমনিরহাট যাওয়ার পথে জাতীয় পার্টির প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পল্লী নিবাস বাসভবনে তিনি এ সব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির আহমেদ, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম-সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সদর উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান মাসুদার রহমান মিলন, জাতীয় পার্টি নেতা অ্যাডভোকেট মোকাম্মেল হোসেন, আজমল হোসেন লেবু, মহানগর যুবসংহতির সভাপতি শাহীন হোসেন জাকিরসহ যুবসংহতি ও ছাত্র সমাজের নেতৃবৃন্দ।
জিএম কাদের বলেছেন, ভারত আমাদের বন্ধুপ্রতীম দেশ। আমাদের ইতিহাস-সংস্কৃতির সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রে তাদের মিল রয়েছে। এ ছাড়া ভারতের মতো বড় ও শক্তিশালী দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক যত ভালো হবে তত বাংলাদেশের জন্য মঙ্গল।
তিনি বলেন, এই ধরনের যোগাযোগের ভেতর দিয়ে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার অনিষ্পত্তিকৃত সমস্যাগুলো নিষ্পত্তি হবে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছিল ভারত। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে ভারতের জনগণের প্রতি সম্মান ও কৃতজ্ঞতা জানানো আমাদের দায়িত্ব।
জি এম কাদের বলেন, দিল্লিতে সহিংসতাকারীদের বিরুদ্ধে ভারত সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে। মুসলিমদের ওপর অত্যাচার ভারতের জনগণসহ সরকারও পছন্দ করছে না। এটা আর বাড়বে না বলে আমরা প্রত্যাশা করি।
এর আগে জিএম কাদের জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারত করেন।