
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার স্কুলছাত্রী রিশামনি আকতার (১১) অপহরণের দুইদিন পর পলাশবাড়ী থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার ২৯ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে পলাশবাড়ী উপজেলার ঢোলভাঙ্গা এলাকা থেকে রিশামনিকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করেন সাদুল্লাপুর থানা পুলিশ, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন গাইবান্ধা সদর উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ ও দামোদরপুর ইউপি চেয়ারম্যান এ জেড এম সাজেদুল ইসলাম স্বাধীন।
এর আগে শনিবার দুপুরে সাদুল্লাপুর উপজেলার খোর্দ্দকোমরপুরে রিশামনি খাতুন অপহরণের ঘটনায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। এ কর্মসূচির খবরটি বিভিন্ন অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হয়। এর ফলে নড়েচরে বসে থানা পুলিশ। অপহৃতাকে উদ্ধার তৎপরতা চালানোর পর রাতেই ঢোলভাঙ্গা থেকে রিশামনিকে উদ্ধার করা হয়।
সাদুল্লাপুর থানার উপ-পরিদশক (এসআই) পরিমল চন্দ্র জানান, রিশামনি অপহরণের ঘটনায় থানায় একটি জিডি করা ছিলো। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে রিশামনিকে ঢোলভাঙা থেকে উদ্ধার করা হয়। সেখানে রিশামনি একাই অবস্থান করছিলো। কে বা কারা অপহরণ করেছিলো এর ক্লু পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, সাদুল্লাপুর উপজেলার খোর্দ্দকোমরপুর গ্রামের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আনারুল ইসলামের মেয়ে রিশামনি খাতুন। সে ফুলবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বাড়ি থেকে খোর্দ্দকোমরপুর বাজারে বাবার দোকানে আসে রিশামনি। এরপর আর বাড়ি ফিরে যায়নি।