
বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যানদের তালিকা করলে মুশফিকুর রহিমের নামটি উপরের সারিতে থাকবে। দেশের সব ফরম্যাটেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে তিনি বর্তমানে দেশের সেরা ব্যাটসম্যান। পারিবারিক কারণ দেখিয়ে পাকিস্তান সিরিজ থেকে নিজের নাম সরিয়ে নিলে বোর্ডের কর্মকর্তাদের বিরক্তির শিকার হয়েছেন।
পাক সিরিজের মাঝেই জিম্বাবুয়ের সাথে একমাত্র টেস্টে তাকে না রাখার কথা চিন্তাও করেছিল বিসিবি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলে জায়গা মিলেছে। আর সেই সুযোগের পুরো সৎ ব্যবহার করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’। ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে যেন বোর্ড কর্মকর্তাদের জানান দিলেন দলে তার গুরুত্ব কতটুকু।
তৃতীয় দিনে ব্যক্তিগত ২৬ রান দিয়ে শুরু করা মুশফিক দিনের শুরু থেকেই জিম্বাবুয়ে বোলারদের রীতিমতো শাসাতে শুরু করেন। খারাপ বলগুলোকে সীমানা ছাড়া করতে ভুল করেননি এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ৮০ তম ওভারে নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। তারপর মনিমুলকে সঙ্গী করে ধীরে ধীরে নিজের শতক পূরণ করেন তিনি। নিজের ৭ম শতক পূরণ করতে মুশফিক মোট বল খেলেছেন ১৬০ টি। যার মধ্যে বাউন্ডারি রয়েছে ১৮ টি।
বাংলাদেশ স্কোর: ৩৫৭/৩
লিড: ৯১ রান
৩ উইকেটে ২৪০ রান তুলে ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। মুমিনুল হক ৬৮* রান এবং মুশফিকুর রহিম ২৬* রানে অপরাজিত ছিলেন। ইনিংসের শুরুতেই ভিক্টর নাউচির বলে তরুণ সাইফ ফিরেছেন মাত্র ৮ রান করে। এরপর নাজমুলের সঙ্গে জুটিতে ৭৮ রান আসতেই ডোনাল্ড ত্রিপানোর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ৮৯ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৪১ রান করা তামিম ইকবাল।
ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি করা নাজমুল ১৩৯ বলে ৭ চারে ৭১ রানের ইনিংস খেলে টিশুমার শিকার হন। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৬৮ রানের জুটিতে দিনের বাকি সময় নির্বিঘ্নে কেটে যায়। এর আগে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ২২৬ রানে অল-আউট হয় জিম্বাবুয়ে।দলীয় ৭ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর ১১১ রানের জুটি গড়েন প্রিন্স মাসভাউরে (৬৪) এবং অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। বিপজ্জনক ব্রেন্ডন টেইলর (১০), সিকান্দার রাজা (১৮) বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তবে সবার বিপরীতে দাঁড়িয়ে ২১৩ বলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন ক্রেইগ আরভিন। দ্বিতীয় দিন প্রথম সেশনেই অল-আউট হয় জিম্বাবুয়ে। ৪টি করে উইকেট নিয়েছেন আবু জায়েদ আর নাঈম হাসান। ২টি নিয়েছেন তাইজুল।