
বিএনপি এক মুখে দুই কথা বলেন। এটা দ্বিচারিতা। তারা কী চান নিজেরাই জানেন না। এ কারণে তারা রাজনীতিতে সফল হতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ শুক্রবার সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সাধারণ সম্পাদক এ কথা জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্যারোলের মুক্তির বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে আমার সঙ্গে ফখরুল ইসলাম আলমগীরের টেলিফোনে কথা হয়েছে। তিনি আমাকে অনুরোধ করেছেন, আমি যেন প্রধানমন্ত্রীকে খালেদা জিয়ার প্যারোলের বিষয়ে বলি।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। এ ব্যাপারে তারা লিখিত কোনো আবেদন পাননি। তারা (বিএনপি) শুধু মুখে মুখেই বলছেন, কিন্তু লিখিত কোনো আবেদন করেননি। এটা দুর্নীতির মামলা।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি বারবার সরকারের কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তি বা প্যারোলে মুক্তি চাচ্ছে, কিন্তু বিষয়টি রাজনৈতিক মামলা নয়। সরকার বিষয়টি তখনই বিবেচনা করতে পারতো, যদি সেটা রাজনৈতিক হতো।
কাদের বলেন, মেডিকেল বোর্ড যে রিপোর্ট দেবে তা আদালতের কাছে পৌঁছাতে হবে। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে নেতারা যেভাবে বলেন, দায়িত্বরত ডাক্তাররা সেভাবে বলেন না। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সরকার এতটা অমানবিক আচরণ করবে না।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী গুরুতর অসুস্থ জানিয়ে একাধিকবার তার জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে যায় তার আইনজীবীরা। তবে বরাবরই আদালত জামিন নামঞ্জুর করেছে।প্রসঙ্গত, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়ায় গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে বিএসএমএমইউ-তে ভর্তি আছেন তিনি।