
ঝালকাঠির পিপি অ্যাডভোকেট হায়দার হোসেন হত্যা মামলায় ৫ জেএমবি সদস্যের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার রায়ের কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নির্মল কুমার দাস ও সৈয়দা শবনম মুশতারী।আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এসএম শাহজাহান, এসএম মাহবুবুল ইসলাম, মহিনুর রহমান। পলাতকদের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত ছিলেন আইনজীবী আসাদুর রহমান।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ বলেন, মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা পাঁচ আসামি নিষিদ্ধ জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য।
তারা হলো- আবু শাহাদাত মো. তানভীর ওরফে মেহেদি, মুরাদ হোসেন, মো. বিল্লাল হোসেন, আমিনুল ওরফে আমির হোসেন ও সমীর হোসেন ভূঁইয়া। পাঁচ আসামির মধ্য বিল্লাল হোসেন পলাতক। বাকিরা কারাগারে।
এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা উচ্চ আদালতে আপিল করে এবং মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য (ডেথ রেফারেন্স) মামলার যাবতীয় নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। শুনানি শেষে আসামিদের আপিল খারিজ এবং ডেথ রেফারেন্স গ্রহণ করে রায় দেন হাইকোর্ট।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপ-পরিদর্শক মোশারেফ হোসেন হত্যার ঘটনার প্রায় তিন বছর পর ২০১০ সালের ১৭ জানুয়ারি জেএমবির পাঁচ সদস্য বেল্লাল, শাহাদাত, তানভীর, মুরাদ, ছগির ও আমিরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
জেএমবি প্রধান শায়েখ আবদুর রহমান এবং সেকেন্ড ইন কমান্ড সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাইসহ শীর্ষ সাত জঙ্গির ফাঁসির আদেশ কার্যকর হয় ২০০৭ সালের ২১ মার্চ।
শায়েখ আবদুর রহমানসহ জেএমবির শীর্ষ নেতাদের ফাঁসির আদেশ কার্যকর হওয়ার ২০ দিন পর ২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল মামলা পরিচালনাকারী সরকারি কৌঁসুলি হায়দার হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে জেএমবি সদস্যরা। এ ঘটনার পরদিন নিহতের ছেলে তারিক বিন হায়দার বাদী হয়ে ঝালকাঠি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর সকালে জেএমবির বোমা হামলায় ঝালকাঠি আদালতের বিচারক সোহেল আহম্মেদ এবং জগন্নাথ পাড়ে নিহত হন। এ মামলায় সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের তৎকালীন সরকারি কৌঁসুলি হায়দার হোসেন। ২০০৬ সালের ২৯ মে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রেজা তারিক আহমদ সাত জঙ্গির ফাঁসির আদেশ দেন।