
ইসকন মন্দির ও ইসকনের অন্যান্য স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করেছিল নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার-আল ইসলামের গ্রেফতার হওয়া ৫ সদস্য।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিটিটিসির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার ইলিয়াস শরীফ।
গতকাল রবিবার রাতে রাজধানীর সবুজবাগের বালুর মাঠ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। এসময় তাদের কাছ থেকে তিনটি চাপাতি, তিনটি ব্যাগ ও চারটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. নিজাম উদ্দিন, মো. রায়হান ভুইয়া, মো. হানিফ উদ্দিন সুমন, শেখ ইফতেখারুল ইসলাম ওরফে আরিফ ও মুফতি মুসলিম উদ্দিন। এরইমধ্যে সবুজবাগ থানায় গ্রেফতাকৃতদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা রুজু হয়েছে।
পুলিশ কমিশনার ইলিয়াস শরীফ বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে জানা গেছে- তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, টেলিফ্রাম, অনলাইন চ্যাট গ্রুপ ও ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে যোগাযোগ করে এবং সংগঠনের অর্থ সংগ্রহ করতো। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি চাপাতি, তিনটি ব্যাগ ও চারটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।’
ইলিয়াস শরীফ বলেন, ‘সংগঠনের দাওয়াতী শাখার প্রধান নাজমুল ও ওরফে উসমান গনি ও ওরফে আবু আইয়ব আল আনসারীর মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ম্যাসেঞ্জার চ্যাট গ্রুপ ও অন্যনায় অনলাইন মাধ্যমে গ্রেফতারকৃতরা আনসার-আল ইসলামের সদস্য হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ হয়। ইসকন মন্দির ও ইসকনের অন্যান্য স্থাপনায় হামলাসহ বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আনসার-আল ইসলামের ৫ জঙ্গি একত্রিত হয়েছিল। এসময় আমরা তাদের গ্রেফতার করি।’ইলিয়াস শরীফ আরও বলেন, ‘দাওয়াতী শাখার প্রধান নাজমুল ইতোপূর্বে জঙ্গিবাদবিরোধী চলচিত্র নির্মাণ করায় চলচিত্র নির্মাতা খিজির হায়াত খানকে হত্যা চেষ্টা ও পরিকল্পনায় সমন্বয় করেছিল। সে কুয়েতে থাকাকালীন টেলিগ্রাফে ‘এসো কাফেলাবদ্ধ হই’ গ্রুপের মাধ্যমে এই হত্যাচেষ্টার পরিকলনায় নেতৃত্ব প্রদান করে। এ ঘটনায় ২০১৮ সালে এই সংগঠনের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তী সময়ে নাজমুল দেশে ফিরে এসে পুনরায় সংগঠনের সদস্যদের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সংঘঠনের জন্য কাজ করে করছে।’তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।