
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের অন্যতম নেতা ও সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেছেন, এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তারা (বিএনপি) একটা নিম্নচাপ সৃষ্টি করতে চায়। নিম্নচাপ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে তারা রাজনৈতিক অঙ্গনে একটা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
১৪ দলের এই প্রতিনিধি দলে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট এ বি এম রিয়াজুল কবির কাওছার, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য কামরুল আহসান, জাতীয় পার্টির (জেপি) সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এজাজ আহমেদ মুক্তা, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশীদ খান, তরিকত ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ফারুকী এবং জাসদের সদস্য মোহাম্মদ মোহসিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। এছাড়া নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এবং ইসির সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ আলমগীর মতবিনিময়ে উপস্থিত ছিলেন।
দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ১লা ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব অবাক হয়ে লক্ষ করবে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের অধীনে এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন হবে। কারও পক্ষে যেন কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা সম্ভব না হয়, সেজন্য ইসির প্রাক-ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
সাম্যবাদী দলের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১লা ফেব্রুয়ারি বিকেল থেকে বিভিন্ন রকম প্রচার করতে পারে। ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনকে কেন্দ্র করেও বিভিন্ন রকম অঘটন ঘটাতে পারে। এ জন্য তারা ইতোমধ্যে বিভিন্ন জেলা থেকে বহিরাগতদের নিয়ে এসেছে। তাদের মূল কাজ হচ্ছে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির মূল লক্ষ্য জয়লাভ নয়। নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করা এবং আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়- এই দুইটা ইস্যুকে প্রতিষ্ঠা করাই তাদের মূল লক্ষ্য।