
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ বাইরে থেকে নেতা-কর্মীদের ঢাকা শহরে সয়লাব করে ফেলেছে, ৩০ লক্ষ নেতা-কর্মী ঢাকা শহরে এনেছে এবং অস্ত্র-শস্ত্রসহ এনেছে।
আজ বুধবার রাজধানীর গোপীবাগে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাফ হোসেনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুস সালাম আজাদ, কাজী আবুল বাশার, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, শহিদুল ইসলাম বাবুল, নাদিম মোস্তফা, রওনাকুল ইসলাম টিপু, নবী উল্লাহ নবী, সুরুজ্জামান সুরুজ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, এই অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আসতে তাদের কর্মীরা সাহস পায় কারণ পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে না। এই কাজটি তারা করেছে, এই কাজটি করবে বলেই আগে থেকে বিএনপির ওপরে দোষ চাপানোর জন্য ওবায়দুল কাদের সাহেব এই উদোর পিন্ডি বুঁদোর ঘাড়ে নেয়ার যে তাদের সবসময়ের অভ্যাস সেটা করার জন্য এই কথা উনি বলেছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি বহিরাগতদের ঢাকায় জড়ো করছে। তার এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানই। এটা অত্যন্ত হাস্যকর। কে না জানে যে বিএনপির প্রার্থীরা, সাধারণ কর্মীরা তারা বাড়িতে থাকতে পারছে না পুলিশের বিভিন্ন ধরনের কর্মকান্ডের কারণে। আমাদের পক্ষে বাইরে থেকে লোক আনা বা কোনো অস্ত্র-শস্ত্র যোগাড় করা-এটা অসম্ভব বিষয়। এটা আমাদের দ্বারা করা সম্ভবও নয়, এটা আমরা করিও নাই। জনগণ আমাদের সাথে আছে, জনগণই আমাদের শক্তি।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বিএনপি এই ঢাকা শহরের বাইরের থেকে কোনো নেতা-কর্মী আসে নাই, আসবেও না। আমাদের প্রয়োজনও নাই। আপনারা জানেন যে, এই নির্বাচনের প্রচারনা আপনারা যারা দেখেছেন, জনজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। যদি মানুষ নিজের হাতে ভোট দিতে পারে তাহলে শতকরা ৮০ ভাগ ভোট পেয়ে আমাদের ঢাকা দক্ষিন ও উত্তরের প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়ী হবেন। আমরা কেনো বাইরের থেকে লোকজন আনবো। জনগনই তো আমাদের শক্তি।
খন্দকার মোশাররফ আরো জানান, ঢাকা দক্ষিনের আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক জনাব আমীর হোসেন আমু সাহেব এক বক্তব্যে বলেছেন যে, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনে জনসমাবেশ করবেন এবং সেখান থেকে তারা গণমিছিল করে শাপলা চত্বরে এসে নির্বাচনী প্রচারনা অব্যাহত রাখবেন।
তিনি বলেন, আমরা বলতে চাই, এটা নির্বাচনী আচরণবিধির স্পষ্টত লঙ্ঘন। নির্বাচনী আচরনবিধির ৭ নং ধারায় বলা আছে, গনসমাবেশ ও গণমিছিল করা যাবে না। আমরা এখান থেকে দাবি করতে চাই, নির্বাচন কমিশন তাদের প্রনীত আচরণবিধি মেনে অবিলম্বে আওয়ামী লীগের এই গনসমাবেশ ও মিছিল বন্ধ করবেন। আমাদের দাবি এটা বন্ধ করতে হবে। তাহলেই আমরা বুঝব তারা (নির্বাচন কমিশন) লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করার জন্য চেষ্টা করছেন। তারা যদি এটা বন্ধ করতে ব্যর্থ হন তাহলে জনগনের কাছে যেমন এই কমিশন একটি পদলেহী আওয়ামী লীগ সরকারের কমিশন হিসেবে ইতিমধ্যে পরিচিত তা আবার প্রমাণ করবে।