
বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে স্থাপন করা গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য সরিয়ে ফেলা হয়েছে। রাত ১২ টার দিক থেকে অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। এর আগে এই ভাস্কর্য অপসারণের দাবিতে হেফাজতে ইসলাম দাবি জানিয়ে আসছিল।
ভাস্কর্যটির নির্মাতা মৃণাল হক নিজে উপস্তিত ছিলেন সেসময়।
তিনি বাইরে থাকা সাংবাদিকদের জানান গতকাল বৃহস্পতিবার দিনভর তাঁর সাথে আলোচনা হয়। এবং চাপের মুখেই এই ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
ভাস্কর্য সরিয়ে কোথায় নেয়া হবে সে ব্যাপারে সঠিক তথ্য তিনি দিতে পারেন নি।
ঐ রাতে সেখানে তাঁর উপস্তিত হওয়ার কারণ ব্যাখা করে তিনি বলছিলেন ভাস্কর্যটা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেটা তত্বাবধান করার জন্য সেখানে তিনি উপস্তিত হয়েছেন।
সাধারণ কয়েকজন শ্রমিক এই ভাস্কর্য সরানোর কাজটি করেছেন।এদিকে রাতের অন্ধকারে ভাস্কর্য সরানোর প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে স্লোগান দিতে দেখা গেছে অনেককে। এর মধ্যে ছাত্র সংগঠন ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের মানুষ রয়েছেন।
এর আগে ভাস্কর্য সরানোর দাবিতে হেফাজতে ইসলামের সমর্থকরা ঢাকায় বিক্ষোভ করেন। সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে গ্রিক দেবীর মূর্তি অপসারণের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, সুপ্রিম কোর্ট সবার প্রতিষ্ঠান। কাজেই সেখানে এরকম মূর্তি স্থাপন করা যাবে না।
সংগঠনটির আমির আহমদ শফি এক বিবৃতিতে এই দাবি জানিয়ে বলেছিলেন, তাঁর ভাষায় গ্রিক দেবির মূর্তি স্থাপন করে বাংলাদেশের শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমানের ধর্মীয় বিশ্বাস এবং ঐতিহ্যে আঘাত করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে ভাস্কর্য সরানোর ব্যাপারে তাদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।সূত্র- বিবিসি