
আগামী বুধবার (২২ জানুয়ারি) ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আজ রবিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘ই-পাসপোর্ট ভবন ও ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম উদ্বোধন সংক্রান্ত’ প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এই ঘোষণা দেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একে একে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে। ২০০৮ সালে তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশ হবে ডিজিটালাইজ। সেদিন প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য অনেকের কাছে স্বপ্নের মতো লেগেছিল। আজ এর সুফল সবাই পাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের নভেম্বরের মধ্যে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) কার্যক্রম শেষ করার কথা থাকলেও তার অনেক আগেই হয়েছে। আমরা সবার কাছে এমআরপি পৌঁছে দিয়েছি। ই-পাসপোর্ট চালু হলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও সম্মান বৃদ্ধি পাবে। ই-পাসপোর্টের মাধ্যমে মেশিনে একজন ব্যক্তির প্রকৃত তথ্য মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে যাচাইয়ের সুবিধা রয়েছে। পাসপোর্ট অধিদফতর ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে এই কাজ করছে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, প্রথমে উত্তরা, যাত্রবাড়ী এবং আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে এ কার্যক্রম শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে তা বাংলাদেশের সর্বত্র চলে যাবে। আবেদনপত্র ডাউনলোড করে পূরণ করে জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে ছবি ও সত্যায়িত করা লাগবে না। পাঁচ বছর ও ১০ বছর মেয়াদি ৪৮ এবং ৬৪ পাতার ই-পাসপোর্ট ১৫ % ভ্যাটসহ ভিন্ন ভিন্ন ফি দিয়ে পাওয়া যাবে। অতি জরুরি দুই দিনে, কম জরুরি সাত দিন ও ১৫ দিনে এই পাসপোর্ট সরবরাহ করা হবে। দক্ষিণ এশিয়ায় ই-পাসপোর্ট করার গৌরব এখন একমাত্র বাংলাদেশের। এটি মুজিববর্ষের উপহার।