
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, জঙ্গিবাদের দর্শন ইসলামের সঙ্গে যায় না। সম্মিলিতভাবে জঙ্গিবাদের প্রচার ও প্রসারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। জঙ্গিবাদ ছড়ানোর অন্যতম জায়গা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ার সবকিছুই বিশ্বাস করা যাবে না। কোনটি মিথ্যা, কোনটি গুজব, সে বিষয়ে যাচাই-বাছাই করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) অডিটোরিয়ামে নবাগত শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্ববদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পুলিশ চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সিভাসুর মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এম. নূরুল আবছার খান ও ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবদুল আহাদ। স্বাগত বক্তব্য দেন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মীর্জা ফারুক ইমাম ও সিনিয়র শিক্ষকবৃন্দ, র্যাব-৭ চট্টগ্রামের অধিনায়ক লে. কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল, সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আমেনা বেগম, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনাসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ও ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
নবীন শিক্ষার্থীদের মাদক থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, তোমাদের হাতেই আগামীর বাংলাদেশ। তোমরা হচ্ছো বাংলাদেশের ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। তোমাদের রয়েছে অমিত সম্ভাবনা। তোমাদের লক্ষ্য হবে ‘গ্লোবাল সিটিজেন’ হবার। তোমরাই একদিন বিশ্বের নেতৃত্ব দেবে।
বেনজীর আহমেদ আরো বলেন, মাদক এমন একটি জিনিস, যা যুব সমাজের বিকাশ ও সম্ভাবনা ধ্বংস করে দেয়। মাদকের কারণে পরিবেশ ও সমাজব্যবস্থা বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে। এটি আমাদের জন্য অভিশাপ।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাদকের সরবরাহ বন্ধে কাজ করছে। কিন্তু মাদকের চাহিদা বন্ধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কেননা চাহিদা বন্ধ না হলে সরবরাহ বন্ধ করা কঠিন হয়ে যাবে।