1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
ঢাকা-৮ আসনে রিকশাচালক সুজনের প্রার্থীতা: নাগরিক অধিকারের ইতিবাচক উদাহরণ পলাশবাড়ীতে মৎস্যজীবি দলের উদ্যোগে বিএনপির নির্বাচনী আলোচনা সভা বরখাস্তের পরও চেয়ারম্যানের চেয়ারে সেই ফ্যাসিস্ট যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর ! দামোদরপুর ইউপিতে ক্ষোভ-উত্তেজনা বাড়ছে সাদুল্লাপুরের খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড জাসাস-এর কার্যালয় উদ্বোধন গাইবান্ধা-৪ আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন বাতিলের দাবীতে মশাল মিছিল গাইবান্ধা জেলা স্টেডিয়াম মাঠ পরিদর্শনে বিসিবি পরিচালক আসিফ আকবর সশস্ত্র বাহিনীর বীর শহীদদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা সারা দেশে ৫.৫ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প অনুভূত গাইবান্ধায় নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসকের সঙ্গে জেলা ছাত্রশিবিরের সৌজন্য সাক্ষাৎ সাদুল্লাপুরে ৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ দুই নারী মাদক কারবারী গ্রেফতার

ধর্ষক গ্রেফতার হওয়ায় যা বললেন সেই ঢাবি ছাত্রী

  • আপডেট হয়েছে : বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২০
  • ৩২ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। ৩০ বছর বয়সী এ যুবক একজন সিরিয়াল রেপিস্ট বলে উল্লেখ করেছে র‌্যাব।

র‌্যাব কর্মকর্তা সারোয়ার বিন কাশেম জানান, ধর্ষককে গ্রেফতারের পর নিশ্চিত হওয়ার জন্য তার ছবি ওই ছাত্রীকে কিছুক্ষণ পর পর কয়েকবার দেখানো হয়। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, ছবির লোকই ধর্ষক কিনা। ছবি দেখে প্রতিবারই ওই ছাত্রী বলেছেন, ‘এই লোকই ধর্ষক’।

এদিকে ধর্ষক মজনুর বিচার চান কিন্তু কোনো ধরনের ক্রসফায়ার চান না ভুক্তভোগী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীর পাশে থাকা একজন স্বজন এ কথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, মেয়েটির স্পষ্ট কথা, সে অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে সে, আরেকটা অন্যায়কে ন্যায্যতা দিতে নয়। কোনো ক্রসফায়ার নয়, কোনো মধ্যযুগীয় বর্বরতাও নয়।

ভুক্তভোগীর স্বজন জানান, মেয়েটি বলেছে ধর্ষক তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল। বলেছিল— এমন কাজ সে আগেও বহুবার করেছে। বহু মেয়েকে রেপ করেছে। হত্যাও করেছে।

মেয়েটির স্বজন বলেন, প্রশ্ন জাগে, এতদিন তাহলে কীভাবে নির্বিঘ্নে ওই রকম একটি এলাকায় চলাচল করেছে সে? কীভাবে বাস থেকে নামার পরে মেয়েটিকে পেছন থেকে মুখ চেপে ধরে, গলা টিপে ধরে অজ্ঞান করে ফেলেছে সে? জ্ঞান ফেরার পর আবার মেয়েটির গলা চেপে ধরা, পেটে ও বুকে লাথির পর লাথি মারার সাহস কারা দিয়েছে তাকে বলতে পারেন?

এদিকে গতকাল বুধবার কারওয়ানবাজারের নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের র‌্যাব জানায়, নির্যাতনের শিকার ঢাবি শিক্ষার্থী তার বান্ধবীর বাসা শেওড়ায় যাওয়ার পথে বাস থেকে ভুলে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের কাছে নেমে পড়েন। সে ভুল জায়গায় নেমে পড়ার কারণে শেওড়ার দিকে হাটতে হাটতে এগিয়ে যান। ধর্ষক মজনু ঢাবি শিক্ষার্থীকে স্কুলের ছোট মেয়ে ভেবে তার পিছু নেয়। মজনুর পিছু নেয়ার বিষয় তিনি খেয়াল না করে হেটে যেতে থাকেন। এমন সময় হঠাৎ পেছন থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীকে চেপে ধরে পাশের নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় পর প্রথম দিকে মেয়েটি অনেক ভয় পেয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়।

এসময় নির্যাতনের শিকার ঢাবি শিক্ষার্থীর জ্ঞান ফেরার পর তাকে একাধিক বার গলাটিপে মেরে ফেলার চেষ্টা করে এবং ভয়-ভীতি দেখাতে থাকে বলেও জানায় র‌্যাব। প্রায় তিন ঘণ্টা নির্যাতন করার পরে ঢাবি শিক্ষার্থীর কাছে থাকা মুঠোফোন ও অন্যান্য জিসিনপত্র নিয়ে চলে যায় মজনু। পরবর্তিতে অসুস্থ হয়ে পরে নির্যাতনের শিকার মেয়টি।

তিনি ওই নির্জন জায়গা থেকে বের হয়ে কোনো কিছু বুঝতে না পেরে পায়ে হেটেই মহাসড়ক পার হতে যান কিস্তু রাস্তার মাঝখানে উচু দেওয়াল থাকায় রাস্তা পার হতে ব্যর্থ হয়ে আবার ঘুরে আসেন। এ সময় অল্পের জন্য গাড়ি চাপা থেকে রক্ষা পান তিনি। পরবর্তিতে পায়ে হেটে শেওড়ার দিকে রওনা দেন। শেওড়া পৌছে সে ওভার ব্রিজটি পার হয়ে একটি রিক্সা নিয়ে তার বান্ধবীর বাসায় যান এবং সব কিছু বললে তারা তাকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।

র‌্যাব আরো জানায়, ঘটনার পরে মোবাইফোন বিক্রি করে নরসিংদী চলে যায় এবং মঙ্গলবার সকালে একশ টাকার জন্য ঢাকায় ফেরত আসেন। এই ঘটনা ছিল একেবারেই ক্ল লেস তবে আমরা জানতে পারি তার সামনের দুটি দাত নাই এই সূত্র ধরেই তাকে আমরা খুজতে থাকি এবং বুধবার ভোরে শেওড়া রেলক্রসিং এলাকা থেকে আটক করা হয়। ধর্ষণের বিষয়টি নিয়ে যে তোলপাড় চলছে, সে খবর ছিলো না মজনুর। তিনি একজন ভয়ানক সিরিয়াল রেপিস্ট।এর আগে সে অনেক নারীর সঙ্গে এই কাজ করেছে তবে তার টার্গেট সব সময় থাকত প্রতিবন্ধি নারী ও শিশুরা। এই কাজ সে আগে একাধিকবার করার কারণে বিষয়টি তার কাছে স্বাভাবিক মনে হয়েছে। ধর্ষক আমাদের কাছে বলেছে এর আগেও অনেক অসহায় নারীকে কমলাপুর থেকে ধরে নিয়ে এসে ক্যন্টরম্যান্ট রেল স্টেশনের পরিত্যক্ত কামরায় আটকে রেখে নির্যাতন চালাতো। তিনি ঢাকার বিমানবন্দর, শেওড়া এলাকায় কখনো দিনমজুর, কখনো হকারের কাজ করতেন। তবে এসব পেশার আড়ালে তিনি ছিনতাই, চুরি করতেন এবং মাদকাসক্তও ছিলেন। ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী নারীদের তিনি টার্গেট করতেন।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft