
বিএনপির নেতাদের সুবিধাবাদী মন্তব্য করে আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে আজ যে অবক্ষয়, তার সূচনা করেছেন জিয়াউর রহমান। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব, মওদুদ সাহেব, খন্দকার মোশাররফ সাহেবসহ আরও অনেক সাহেবরা রয়েছেন যারা অন্য দলের রাজনীতি করতেন। তিনি সুবিধাবাদী রাজনীতিবিদদের কিনে নিয়েছিলেন। তারা জিয়াউর রহমানের টেন্ডারের হাটে বিক্রি হওয়া রাজনীতিবিদ।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
এসময় অ্যাডভোকেট ফাজিলাতুন্নেসা বাপ্পীর অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক ও মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা সৈয়দ হাসান ইমামের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, সহ-সাধারণ সম্পাদক কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, কবি নাসির আহমেদ, আ.লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার প্রমুখ।
বিএনপির উদ্দেশ্য হচ্ছে সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে বিতর্কিত করা এবং এর মাধ্যমে গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ করা। তাদের অনুরোধ করবো, নির্বাচনকে বিতর্কিত করার উদ্দেশ্যে অংশগ্রহণ না করে আপনাদের লক্ষ্য নিয়ে জনগণের কাছে যান এবং জনগণের বিশ্বাস অর্জন করুন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, কিছুদিন আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, আ.লীগ সরকারের হঠাৎ পতন হবে। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, তারা সরকার পতনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। কিন্তু ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না। কারণ মানুষ বিএনপির ষড়যন্ত্র সম্পর্কে অবগত রয়েছে।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি নির্বাচন যে সুষ্ঠু হয় না সেটা দেখানোর জন্য। অর্থাৎ তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচনকে বিতর্কিত করা। তারা যে নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারবেন না, তা অনুধাবন করতে পারছেন এবং তিনি সেটি খোলাসা করে বলেছেন।
‘আলমগীর সাহেব আরও বলেছেন, রাস্তায় দাঁড়িয়ে জনগণকে জিজ্ঞেস করলে সবাই সরকারের বিপক্ষে বলবে। তিনি হয়তো বোঝাতে চেয়েছেন নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে যে নেতাকর্মীরা দাঁড়িয়ে থাকে, তাদের কথা। সত্য কথা হলো, পৃথিবীর অনেক জরিপকারী প্রতিষ্ঠান প্রমাণ দিয়েছে, শেখ হাসিনা যেভাবে দেশ পরিচালনা করছেন, সেটা আদর্শিকভাবে দেশ পরিচালনার পথ। বরং বিএনপি যেভাবে দল পরিচালনা করেছে, দেশের জনগণ বলবে, তারা ব্যর্থ।’
বিএনপির নেতাদের সুবিধাবাদী মন্তব্য করে আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে আজ যে অবক্ষয়, তার সূচনা করেছেন জিয়াউর রহমান। বিভিন্ন মৌসুমে যেমন খেলোয়াড়দের কিনে নেওয়া হয়, সেভাবেই ১৯৭৫ সালের পর জিয়াউর রহমান অনেক সুবিধাবাদী রাজনীতিবিদদের কিনে নিয়েছিলেন।রাজনীতি ব্যক্তিগতভাবে প্রতিষ্ঠালাভের জন্য নয় উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ক্ষমতায় যাওয়াই রাজনীতির একমাত্র লক্ষ্য নয়। আদর্শের ওপর অবিচল থেকে সংগ্রামই হলো রাজনীতি। সুস্থ রাজনীতির চর্চা দেখিয়ে গেছেন আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম। তিনি অত্যন্ত নির্মোহ-নির্লোভ ব্যক্তি ছিলেন। প্রীতিলতা রাজনৈতিক আদর্শকে ধারণ করে সায়ানাইড খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন, তবুও দলের গোপনতথ্য ফাঁস করেননি।